বাবার হত্যার বিচার চাই: এমপি আনারের মেয়ে সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সুমনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ এনে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন শহীদ হালিম-লিয়াকত বৃত্তির সনদ বিতরণ, কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন আওয়ামীলীগের ৫ নেতাকে হারিয়ে,পাঁচবিবি উপজেলাতে প্রথম নারী চেয়ারম্যান সাবেকুন নাহার শিখা আশাশুনিতে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ২০টি বাড়ি ভাঙচুর, আহত-৫, আটক ১৩ লক্ষ্মীপুরে গাড়ি ভাংচুর সহিংসতার ঘটনায় মামলা কালিগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইসমাইল হোসেন নামে মাদ্রাসার ছাত্র নিহত সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে আন্তর্জাতিক প্রাণবৈচিত্র্য দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন শৈলকুপায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ২০টি বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ, আহত ১৫, পুলিশ মোতায়েন বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই দাঁড়াচ্ছেন আম্পায়ার সৈকত গোলাপি কার্ড ব্যবহার হবে ২০২৪ কোপা আমেরিকায় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহ উদ্ধার হয়নি: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করার জন্য বৌদ্ধ নেতাদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান উখিয়ায় মাদকের চালান ক্রয়-বিক্রয়কালে আ-ই-স ; ই-য়া-বা ও নগদ টাকাসহ আটক-৪ ঈদগাঁওতে দেশের বৃহৎ ফার্নিচার কারখানায় ভয়াবহ আগুন, কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি ঈদগাঁ’র নিহত ছফুর আলমের মরদেহ হস্তান্তর নিয়ামতপুরে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট, পুনরায় ফরিদ আহম্মেদ নির্বাচিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে এসেছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কক্সবাজার সুগন্ধা বিচে পালিত হলো বিশ্ব মেডিটেশন দিবস বাংলাদেশ ইতিহাস চর্চা পরিষদ'র উদ্যোগে মোহাম্মদ ইমাদ উদ্দীনের সম্মাননা স্মারক লাভ

বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাবনা গৃহীত হলো জাতিসংঘে

admin - দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 04-05-2024 07:35:40 am

 

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক রেজোল্যুশন (প্রস্তাবনা) সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। ১১২টি দেশ এই রেজোল্যুশনটিতে কো-স্পন্সর করেছে।


নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বাংলাদেশের পক্ষে এটি উত্থাপন করেন।


শুক্রবার (৩ মে) জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এ তথ্য জানায়।


স্থায়ী মিশন বলছে, চলতি বছর আলোচ্য প্রস্তাবনাটি একটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। কেননা এ বছরে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি ২৫তম বর্ষে পদার্পণ করেছে।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদে সরকার পরিচালনার সময় ১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি গৃহীত হয়।


এরপর থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশ ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজোল্যুশনটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন করে আসছে, যা শান্তি ও অহিংসার সংস্কৃতিকে উন্নীত করার জন্য আটটি বিশেষ ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করে, সে অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সবার প্রতি আহ্বান রয়েছে এতে।


এছাড়া সাধারণ পরিষদের সভাপতির নেতৃত্বে ২০১২ সাল থেকে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘে একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরামের আয়োজন করে আসছে।


প্রস্তাবনাটি উপস্থাপনের সময় রাষ্ট্রদূত মুহিত বিভিন্ন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতির অব্যাহত প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন।


তিনি বলেন, আজ বিশ্ব ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব এবং মানবিক মর্যাদা অবজ্ঞার মুখোমুখি। এই ক্রমবর্ধমান সংঘাত ও সহিংসতা থেকে উত্তরণে মানবমনে সম্প্রীতি ও সহমর্মিতার ভাবকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে, সমতা ও সব মানুষের সমমর্যাদার চেতনাকে সমুন্নত করতে হবে এবং সর্বোপরি যুদ্ধের চেয়ে শান্তিকে অনেক বেশি লাভজনক করে তুলতে হবে।


এবারের রেজোল্যুশনে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচির ২৫তম বার্ষিকী যথাযথভাবে পালন ও উদ্‌যাপনের জন্য সাধারণ পরিষদের সভাপতিকে দিনব্যাপী একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরাম আহ্বান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।


এছাড়া এ রেজোল্যুশনে সাধারণ পরিষদের সদস্য রাষ্ট্র, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা, নাগরিক সমাজ, বেসরকারি খাত, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মিডিয়াসহ অন্যান্য অংশীজনদের শিক্ষা ও জনসচেতনতা সম্প্রসারণসহ অন্যান্য আয়োজনের মাধ্যমে যথাযথভাবে এই বার্ষিকীটি পালনের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।


যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞে বাংলাদেশের নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণা প্রবর্তনের বাংলাদেশের উদ্যোগটি আমাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত। বৈষম্য, বর্ণবাদী অসহিষ্ণুতা এবং পরাধীনতা আমাদের একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য করে। এ কারণেই আমরা শান্তির প্রসারকে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির একটি মৌলিক নীতিতে পরিণত করেছি।


রেজোল্যুশনটির বিবেচনার পূর্বে শান্তির সংস্কৃতির ওপর সাধারণ পরিষদে একটি সাধারণ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বহুসংখ্যক সদস্য রাষ্ট্র বক্তব্য দেয়। এ সময় তারা শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি বাস্তবায়নে তাদের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে।


প্রতিনিধি দলগুলো জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে ধন্যবাদ জানায়।

আরও খবর