যশোরের অভয়নগর উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।
বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য ও বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন।বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন আজ। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম জানান দেওয়ার দিন।১৯৭১ সালের এই দিনে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ শেষে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।চূড়ান্ত বিজয়ের মধ্য দিয়ে অভ্যুদয় ঘটে বাঙালির স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।বিজয়ের অনুভূতি সব সময়ই আনন্দের। তবে একই সঙ্গে দিনটি বেদনারও, বিশেষ করে যারা স্বজন হারিয়েছেন, তাদের জন্য।
অগণিত মানুষের আত্মত্যাগের ফসল আমাদের এই স্বাধীনতা।
তারই ধারাবাহিকতায় অভয়নগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিন ব্যাপী অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়। একই সাথে সকল সরকারি বে-সরকারি ও আধা সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্টানে স্ব স্ব উদ্যোগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। ৭টা ৪৫ মিনিটে উপজেলা চত্বরে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে উপজেলা প্রশাসন, আ.লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন, নওয়াপাড়া প্রেসক্লাব, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বিভাগসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। সকাল ৮টায় স্টেশন বাজারে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে উপজেলা প্রশাসন , আ.লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন নওয়াপাড়া প্রেসক্লাব ,উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক প্রতিষ্ঠান সমুহ। দিবসটির দ্বিতীয় অধিবেশনে কুচকাওয়াজ ও অভিবাদন গ্রহন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীর।অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কেএম আবু নওশাদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র সুশান্ত কুমার দাস, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম আকিকুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এসময় অন্যান্য কর্মসূচিতে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদের আয়োজনে শংকরপাশা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে প্রদর্শনী এবং ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। পরে ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অন্য দিকে শিশু কিশেষারদের চিত্রাংকন সকাল সাড়ে ১০টায় সমাজের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ১১টায় জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারন বিষয়ক আলোচনা সভা, সাড়ে ১১টায় মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারে সদস্যদের সংবর্ধণা।ব্যাপক উৎসব উদ্দীপনা মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপিত হয়।
২২ ঘন্টা ৪৭ মিনিট আগে
৬ দিন ৬ ঘন্টা ২৭ মিনিট আগে
৭ দিন ২৩ ঘন্টা ৩৮ মিনিট আগে
৭ দিন ২৩ ঘন্টা ৫৯ মিনিট আগে
৮ দিন ২২ ঘন্টা ৪২ মিনিট আগে
১০ দিন ২১ ঘন্টা ৩৯ মিনিট আগে
১১ দিন ১৮ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
১২ দিন ১৯ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে