যশোরের অভয়নগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী নওয়াপাড়া বাজারে ক্রেতাদের দৃষ্টি কাড়ছে লোভনীয় সরিষা ফুলের শাক।
মাঠে মাঠে হলুদ বরণ চাদরে মোড়ানো সরিষা ফুলের সমারোহ মানুষের মনকে বিমোহিত করে তুলেছে, তেমনই বাজারেও ক্রতাদের দৃষ্টি কাড়ছে মজাদার সরিষা ফুলের শাক।
অভয়নগরের নওয়াপাড়া বাজারে নূরবাগে দৃষ্টি পড়লো সরিষা ফুলের আঁটি হাতে মশিয়ার মোল্যার দিকে। আনন্দ চিত্তে সরিষা ফুলের শাক বিক্রয় করছেন উপজেলার দীঘিরপাড় গ্রামের রাঙ্গার হাট এলাকায় বাড়ি শফিয়ার মোল্যা । তিনি গত একসপ্তাহ যাবৎ সরিষার ফুল বিক্রয় করে আসছেন লাভজনক ভাবেই।প্রতিদিন দেড়শো থেকে দুইশ আটি সরিষার ফুল বিক্রয় করছেন তিনি। শংকরপাশা গ্রাম থেকে সরিষা ফুল পেয়ে থাকেন বিক্রয়ের জন্য। সেই কৃষক চার বিঘা জমিতে সরিষা বুনেছেন শুধু সরিষা ফুলের শাক বিক্রয় করার জন্য । কৃষকরা জানান বৃষ্টির কারণে ফুল ঝরে গেলে ও শেষের দিকে নতুন করে ডোগাই ডোগাই ফুল ফুটে শোভা বর্ধন করছে। ক্ষেতের সরিষা গাছ ফুলে ফুলে ভরে গেছে। তবুও ফুলসহ গাছের ডগা কেটে বিক্রয় করছেন বজারে।এভাবেই তিনি সরিষা ফুল বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সরিষা বুনে থাকেন বলে জানা যায়।
বাজারে সরিষা ফুলের ব্যপক চাহিদা রয়েছে। সরিষা ফুল বাজারে নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রয় হয়ে যায়। বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা/ দোকানদারেরা আগ্রহভরে ক্রয় করে থাকে।
তাছাড়া সরিষা ফুলের সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে। সরিষা ক্ষেত দেখলে মনে হয় প্রকৃতি যেন হলুদ চাদর বিছিয়ে রেখেছে মাটিতে। সরিষা বিভিন্ন খাবারের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহৃত হয় মসলা হিসেবে। তমনই সরিষা ফুলের বড়া, ভর্তা, ভাজি খেতে বেশ মজাদার। একবার খেলেই মুখে লেগে থাকবে এর স্বাদ। সারাবছর অন্যান্ন শাকসবজিতো বাজারে পেয়েই থাকে এবং মানুষ খেয়েই থাকে। সরিষা ফুলতো আর সবসময় পাওয়া যায়না, তাই শীতের সময় অন্যান্ন শাকসবজির সাথে সরিষা ফুলের চাহিদা বেড়ে যায়, আগ্রহভরে বা শখের বসে সরিষা ফুলের মজাদার ভর্তা,ভাজি ও বড়া খাওয়ার প্রতি ঝুকে পড়ে। বেশ কিছুদিন আগে থেকেই এভাবে নওয়াপাড়া বাজারে সরিষা ফুলের শাক বিক্রয় করতে দেখা যায়।
২২ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
৬ দিন ৬ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে
৭ দিন ২৩ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে
৮ দিন ৪ মিনিট আগে
৮ দিন ২২ ঘন্টা ৪৭ মিনিট আগে
১০ দিন ২১ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
১১ দিন ১৮ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে
১২ দিন ১৯ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে