পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে জুয়েল গাজী (৩৭) নামে এক যুবদল কর্মীর বিরুদ্ধে ব্রাক এনজিও'র এক নারী কর্মীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মির্জাগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই নারী (২৭) ব্র্যাকের মির্জাগঞ্জ শাখায় ফিল্ড অফিসার পদে কর্মরত।
অভিযুক্ত জুয়েল আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের জয়নাল গাজীর ছেলে ও মির্জাগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সক্রিয় কর্মী।
গত মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) মির্জাগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় এ মামলাটি রুজু হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ব্যবসায়িক কাজের জন্য জুয়েল গাজী তার মা ফিরোজা বেগমের নামে মির্জাগঞ্জ শাখা ব্র্যাক অফিসের দাবি প্রোগ্রাম থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা ঋণ নেয়। যাহার সদস্য নং-৫৩৩, কোড নং-২০৬৯। ওই ঋণ পরিশোধের জন্য প্রতি মাসের নির্ধারিত কিস্তি ৫০,০০০ টাকা পরিশোধ করে আসছিল জুয়েল। ঘটনার দিন বুধবার (২১ আগস্ট) চলতি মাসের কিস্তির টাকা পরিষদের ব্যাপারে জুয়েলের মুঠো ফোনে কল করা হলে দুপুর বেলা কিস্তি নেওয়ার জন্য তার বাসায় যেতে বলে। ঘটনার দিন দুপুর আড়াইটার দিকে পশ্চিম সুবিদখালী এলাকার জুয়েলের ভাড়া বাসায় কিস্তির টাকা আনতে গেলে সামনে কক্ষে বসতে বলে ঘরের ভিতর থেকে কিস্তির টাকা ও পাশ বই এনে ভুক্তভোগী নারীর হাতে দেয়। ওই নারী খাটের উপর বসে টাকা গননা করে ব্যাগে রাখে এবং তার পাশ বইতে লিখে রুম থেকে বের হওয়ার জন্য উঠে দাঁড়ায়। এসময় কেউ বাসায় না থাকার সুযোগে জুয়েল অবৈধভাবে তার যৌন কামনা পূরণের উদ্দেশ্যে ওই নারী কর্মীর ডান হাত ধরে টান দেয়। তখন ওই নারী তার হাত ছুটানোর চেষ্টা করলে জুয়েল ওই নারীর বুকে ধাক্কা দিয়ে খাটের উপর বসাইয়া ফালায় এবং তার মুখ চেপে ধরে চুপ থাকতে বলে। সেই সাথে ডাক চিৎকার করলে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। এসময় ওই নারী কোনমতে তার মুখ থেকে হাত জুয়েলের হাত সরিয়ে ডাক চিৎকার দেয়। তখন জুয়েল ওই নারীকে ছেড়ে সামনের কক্ষের দরজা আটকাতে গেলে ওই নারী ভিতরের কক্ষের দরজা ভিতর থেকে আটকিয়ে দেয় এবং তার সহকর্মীদের ফোন দেয়। এসময় জুয়েল ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এবিষয়ে বক্তব্যের জন্য অভিযুক্ত যুবদল কর্মী জুয়েলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তার রিসিভ করেননি।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক গাজী রাশেদ শামস বলেন, যুবদল কখনো এ ধরনের কর্মকাণ্ড সমর্থন করে না। সে একজন যুবদলের কর্মী মাত্র। কোন পদে না থাকায় তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। তবে ঘটনাটি সত্যি হলে তার নিন্দা জানাই।
মির্জাগঞ্জ থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে। তবে আসামি উচ্চ আদালতের আগাম জামিনে থাকায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৫ দিন ২১ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে
৭ দিন ১ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে
৪১ দিন ১৮ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
৫১ দিন ২৩ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে
৬৫ দিন ২০ ঘন্টা ৪২ মিনিট আগে
৭৪ দিন ৭ ঘন্টা ২৭ মিনিট আগে
৭৬ দিন ৩ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে