রহমত এর মাস রমজান। এ মাসকে ঘিরে সকল মুসলমানরা মনে নানা রকম স্বপ্ন বুনে থাকে। কীভাবে এ পবিএ মাহে রমজান মাসে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়?দেখতে দেখতে পবিএ মাহে রমজান প্রায় চলেই যাচ্ছে। ধর্ম প্রাণ মুসলমানদের জন্য এ মাসটি খুবই গুরত্বপূর্ণ। 


আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) যেমন এ মাসে ইবাদত বন্দেগীতে মগ্ন থাকতেন।ঠিক তেমনি দান খয়রাত এর মাধ্যমে অন্যকে সাহায্য করার পরিমাণ ও বাড়িয়ে দিতেন।


মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব।অন্যের দুঃখে দুঃখিত হওয়া, অন্যের কষ্টে কষ্ট অনুভব করাই একমাএ প্রকৃত মানুষের লক্ষণআমরা পবিত্র মাহে রমজান মাসে সারাদিন রোজা রাখার পর অনেকেই প্রচুর অর্থ খরচ করে ইফতার পার্টির আয়োজন করে থাকি। 


ঠিক ঐ মুহূর্তে আমাদেরই ঘরের পাশের কোনো কোনো প্রতিবেশী যাদের "নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা" তারাও ইফতার করে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। 

আমরা কি একবারটিও তাদের দিকে লক্ষ্য করেছি,কতটা কষ্টের মধ্যে দিয়ে তারা তাদের জীবন যাপন অতিবাহিত করছে।


এইতো করোনা মহামারীর পর আমাদের চেনা জানা অনেক প্রতিবেশী হারিয়েছে তাদের কর্মসংস্থান একবারটিও কি সেদিকে দৃষ্টিপাত করেছি?এটাই কি প্রকৃত মুসলমানদের লক্ষণ?এটাতো হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) জীবনাদর্শ নয়।ওনি তো অন্যের মুখে সবর্দাই হাসি ফুটাতে চাইতেন।


তাই চলুন না, ইফতার পার্টিতে আমরা যে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করি।সেটা বাঁচিয়ে অসহায় মানুষের দিকে" সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই"। হতে পারে এর দ্বারা একটি পরিবারের একটি শিশুর মুখে হাসি ফুটবে।সেই হাসিই হয়তো আখিরাতের মুক্তির জন্য ওসিলা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

আর এভাবেই আমরা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আর্দশ গ্রহন এর মাধ্যমে সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি একমাএ আল্লাহ'তালার।

তাই চলুন সবাই আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মতো অসহায় মানুষদের দিকে "সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেই"।



লেখক: মহিন মিয়া

শিক্ষার্থী ঢাকা কলেজ 

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024