|
Date: 2023-04-10 10:53:23 |
বঙ্গবাজার ব্যবসায়ীদের কান্না এবং হাহাকারের পেছনে রয়েছে আরো এক পাইকারি ব্যবসায়ীদের চাপা কান্না ও হাহাকার। এ সকল ব্যবসায়ীরা হলেন নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ মার্কেটের পাইকারি পোশাক ব্যবসায়ী ও নয়ামাটি মার্কেটের পাইকারি ব্যবসায়ী বৃন্দ।
গত ৪ঠা এপ্রিল ভোর ৬ টা থেকে শুরু হওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয় ঢাকার বঙ্গ বাজার। বঙ্গবাজার ব্যবসায়ীদের দাবি আগুনে পুড়ে গিয়েছে তাদের কোটি কোটি টাকার মালামাল।
দেওভোগ ও নয়ামাটি ব্যবসায়ীদের মালামাল আগুনে না পুড়লেও এবং বঙ্গবাজার ব্যবসায়ীদের সমস্ত মালামাল আগুনে পুড়ে গেলেও, লোকসানের দিক থেকে বেশি পরিমাণ হুমকির মুখে আছেন দেওভোগ ও নয়ামাটির পাইকারী ব্যবসয়ীরা। আজ সকালে সরেজমিনে যে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানকার ব্যবসায়ীদের অধিকাংশরাই নিয়মিত ব্যবসা পরিচালনা করতেন বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের সাথে। প্রতিবছরই রমজানের আগে, বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা পাইকারি মালামাল বাকিতে কিনে নিতেন দেওভোগ ও নয়ামাটির এই পাইকারি মার্কেট থেকে। যা চুক্তিভিত্তিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্কের খাতিরে বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা পুরো রমজান মাসজুড়ে বাকিতে নেয়া মালামালে ব্যবসা করার পর পবিত্র ঈদুল ফিতরের পূর্ববর্তী সময়ে মালামালের বাকি টাকা পরিশোধ করতেন। কিন্তু এ বছর রমজানের প্রথম দিকেই বঙ্গবাজারে আগুন লাগার ফলে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার দোকান এবং সেই সাথে কয়েকশো কোটি টাকার মালামাল। তবে এই সমস্ত মালামালের অধিকাংশ ছিল বাকিতে কিংবা অর্ধেক দামে দেওভোগ ও নয়মাটি মার্কেট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিনে নেওয়া। ফলে বাংলাদেশের অন্যতম শিল্পনগরী নারায়ণগঞ্জের এই পাইকারি মার্কেট ব্যবসায়ীরা প্রত্যক্ষভাবে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও, পরোক্ষভাবে তারা রয়েছেন বিশাল বড় ক্ষতির মুখে।
কয়েকজন ব্যবসায়ীর দাবি, তারা বঙ্গবাজারে প্রায় ৭৫% ব্যবসায়ীদের কাছে বাকিতে পণ্য বিক্রি করেছেন। যার প্রাপ্য টাকা পাওয়াটা এখন প্রায় অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের কেউ কেউ দাবি করে বলছেন, " বঙ্গবাজার ব্যবসায়ীরা যে বলছে মালামাল পুড়ে গিয়েছে কিন্তু সেই মালামাল তো একান্তই আমাদের মালামাল। কারণ সেগুলোর প্রাপ্য টাকা তো এখন পর্যন্ত আমরা পাইনি।"
© Deshchitro 2024