উষার নীলীমায় পাখির কূজন  

আসে যখন  কানে, 

ঘুম ভেঙে যায় মাঠের ডাকে 

পাকা ফসলের ঘ্রাণে। 


রোজ প্রভাতে পূব গগনে 

উঠলে ভোরের রবি, 

লাঙ্গল কাঁধে হেটে চলেন 

সবুজ মাঠের কবি। 


শ্যামল মাঠ আঁচল খানি 

বিছিয়ে দেয় সুখে, 

সোনার ফসল উঠবে ঘরে 

স্বপ্ন আঁকে চোখে। 


মনের সুখে স্বপ্ন বুনেন 

মৃত্তিকারি মাঝে, 

কাব্য লিখতে ব্যস্ত কবি 

নিত্য সকাল, সন্ধ্যা-সাঁঝে। 


লাঙ্গল হল কবির কলম 

কাঁদা মাটি তাঁর খাতা, 

পরতে পরতে সোনার ফসল 

লিখে কাব্য গাঁথা। 


দুপুর বেলা তপ্ত রোদের 

আলোক ঝলমল, 

পূবালী বায় সুর তুলে যায় 

নদীর কলকল। 


ক্লান্ত কবির হয় না বিরাম 

উষ্ণ দুপুর কালে, 

বিরামহীন কাটে বেলা 

ফসলের মায়াজালে। 


চাষাবাদে প্রহর কাটে 

হয় না নাওয়া-খাওয়া, 

ফসলে তাঁর ভরবে গোলা

একটুই যে চাওয়া। 


পরনে তাঁর মলিন বস্ত্র 

মাথায় গামছা বাঁধা, 

দু'হাত ভরা অঞ্জলি তার 

সুধা মাটির কাঁদা। 


দরদ দিয়ে ফসল ফলান 

সব মানুষের তরে, 

নিত্য দিনের অন্ন তবু 

জুটে না কবির ঘরে। 


অনাহার অর্ধাহারে 

হয় যে দিনাপাত, 

মেলে না তাঁর জীবন হিসাব 

কঠিন ধারাপাত। 




সেগুফতা আনসারী 

কবি ও সহকারী শিক্ষক 

সিলেট সদর, সিলেট। 

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024