সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নের অসহায় এক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধিকার আদায়ে বারবার আকুতি জানিয়েও কোন প্রতিকার না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।


কাদাকাটি ইউনিয়নের টেকা রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত জেহের আলীর ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা কেচমত আলী খুবই অসহায় জীবন যাপন করে আসছেন। তার পুত্র ৪০ বছর পূর্বে পিতাকে ফেলে রেখে ফকরাবাদ গ্রামে বসবাস করে আসছিল। সেই থেকে দীর্ঘ সময় সন্তানের সেবা বঞ্চিত হয়ে অসুস্থ ও বয়ঃবৃদ্ধ পিতা যখন এক প্রতিবন্ধি কন্যা মইফুল বেগম ও নাতে গোলাম রসুলকে নিয়ে কোন রকমে দিন যাপন করতে থাকেন। তারাই বৃদ্ধ পিতা ও নানাকে দেখাশুনা, চিকিৎসা সেবা করতে থাকেন। ফলে তিনি একপ্রকার তাদের উপর নির্ভরশীল হয়ে আছেন। ইতোমধ্যে সরকার বাহাদুরের সহায়তায় একটি গৃহের মালিক হয়েছে।


এ গৃহেই তিনি প্রতিবন্ধি কন্যা ও নাতেকে নিয়ে বসাবাসের ঠাঁই খুজে পেয়ে শান্তিতে বসবাস করে আসছিলেন। সকলের সামনে তিনি তার প্রতিবন্ধী কন্যা ও নাতেকে ঘরটি হস্তান্তর করে একসাথে বসবাস করছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ ৩০ বছর পর পিতাকে রেখে পালিয়ে থাকা সন্তান নজরুল ইসলাম পিতার অধিকার বঞ্চিত করে জোর পূর্বক ঘরটি দখল করে নিয়েছে। বাধা দেওয়ায় তার হাত ধরে টেনে পিতাকে ঘর থেকে বের করে দেয়া হয়। বাধ্য হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা কেচমত আলী গত ১ ফেব্রুয়ারি উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার বরাবর এবং তার এক কন্যা সাবিনা খাতুন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর পৃথক পৃথক অভিযোগ করেন।


 কিন্তু অদ্যাবধি তারা কোন প্রতিকার পাননি। বর্তমানে ছেলে ঘর দখল করে রেখেছে এবং অসহায় বীর মুক্তিযোদ্ধা কোন রকমে প্রতিবন্ধী কন্যা ও নাতেকে নিয়ে বারান্দায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। তার কন্যার ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি খুবই চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার কন্যাকে জব্দ করতে নানা ভাবে হয়রানী ও হুমকী ধামকী দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধার কন্যা সাবিনা খাতুন বাদী হয়ে থানায় দাখিলকৃত অভিযোগে জানাগেছে, গত ৯ এপ্রিল সকালে ০১৮২৫৭৬০৪১২ ও ০১৮৬০০২২১৩৮ মোবাইল নং ব্যবহার করে ইউএনও অফিস থেকে বলছে দাবী করে বাদীর ০১৭৫১২৪০২১৪ নম্বরে বলা হয়, তোমার পিতার নামে সোনালী ব্যাংকে ২ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা এসেছে। তুমি এখনই ৬২২০০ টাকাসহ তোমার পিতার কাগজপত্র নিয়ে ব্যাংকে এসো। অনুরুপ ভাবে ১০ এপ্রিল রাত্র ৮.৩০ টায় একই নম্বার থেকে ৩ লক্ষ টাকা দাবী করে বিভিন্ন ধরনের হুমকী ধামকী ও গালিগালাজ করে। ফলে মুক্তিযোদ্ধার পরিবার চরম অসহায় হয়ে পড়েছে।  

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024