◾   জাহেদ কায়সার  


পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ । এটি আমাদের জীবনে শুধু একটি উৎসব নয়, এটি চেতনার প্রতীক। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে নতুন বছর আমাদের উদ্বুদ্ধ করে মানবতাবোধে। এই দিনটি আমাদের অনুপ্রাণিত করে দরিদ্র, নিপীড়িত, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে। নববর্ষ একদিকে নির্মল আনন্দের খোরাক, অন্যদিকে চেতনার বাহক। কিন্তু বর্তমানে বিদেশী সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বাঙালির ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবকে কলুষিত করছে। নাচ-গান, মেলা ও বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার স্থান দখল করে নিচ্ছে বিদেশি সংস্কৃতি। নববর্ষ উদযাপনের প্রকৃত স্বাদ ও তৃপ্তি থেকে মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। উৎসবের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের বাণিজ্যিকীকরণ ও বাড়াবাড়ি উৎসবের মূল আনন্দকে কলঙ্কিত করছে। মানুষ তার নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি উদাসীন হয়ে পড়ছে। অতীত এবং বর্তমানের মধ্যে নতুন বছরের মধ্যে কিছু অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন ঘটেছে; যা বাঙালি জাতি ও নিজস্ব সংস্কৃতির জন্য হুমকিস্বরূপ।


    আজ মানব সভ্যতার অগ্রগতি ও বিকাশের পথ ধরে সবকিছুতেই রয়েছে পরিবর্তনের ছোঁয়া। এর মধ্যে কিছু ইতিবাচক আবার কিছু নেতিবাচক। বাংলা নববর্ষ বাঙালির প্রাণের উৎসব। বাঙালিরা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও রীতিনীতির মধ্য দিয়ে এই উৎসব পালন করে।

আর এই উৎসব উদযাপন করতে গিয়ে প্রতিটি বাঙালিকে সচেতন হতে হবে যেন কোনো সাংস্কৃতিক সন্ত্রাস আমাদের ঐতিহ্যকে গ্রাস করতে না পারে।


  আমাদের খেয়াল রাখতে হবে বাংলা নববর্ষ যেন মুষ্টিমে ধোনির ভোগবিলাসের সংকীর্ণ উল্লাসে পরিণত না হয় দারিদ্র লাঞ্ছিত পীড়িত মানুষের নিষ্ফল বিলাপে যেন জন জীবন বিষন্ন না হয় ওঠে।


আসুন পহেলা বৈশাখের সামনে রেখে আমরা আমাদের মধ্যকার সকল বিভেদ ও দিদা দূর করার চেষ্টা সথেষ্ট হয়ে উঠি। আমরা জাগ্রত হই বাংলাদেশী জাতীয় চেতনায়।

নতুন বছর আমাদের সবাই জীবনের সুখ সম্ভার বয়ে আনুক এটাই হোক আমাদের প্রত্যাশা


লেখক - সাংবাদিক ও সংগঠক  

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024