◾মুফতি খালেদ কাসেমি


সম্পদ আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার জন্য এক মহা নেয়ামত। মানবজীবনে সম্পদের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের প্রয়োজন পূরণে সম্পদ আবশ্যক। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা সম্পদকে জীবনের অবলম্বন আখ্যা দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘আর যে সম্পদকে আল্লাহ তোমাদের জীবনযাত্রার অবলম্বন করেছেন, তা অর্বাচীনদের হাতে তুলে দিয়ো না। বরং তা থেকে তাদের খাওয়াও, পরাও এবং তাদের সান্ত্বনার বাণী শোনাও।’ (সুরা নিসা: ৫) সুতরাং সম্পদ খরচ করার ব্যাপারে আমাদের সতর্ক হতে হবে। কোনোরূপ অপচয়-অপব্যয় যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।


অপচয়কারীর ব্যাপারে কোরআন ও হাদিসে বিভিন্ন সতর্কবাণী এসেছে। পবিত্র কোরআনে অপচয়কারীকে বলা হয়েছে শয়তানের ভাই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা অপব্যয় করে তারা শয়তানের ভাই, আর শয়তান তার প্রভুর প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ২৭)


অপচয়কারীকে আল্লাহ তাআলা পছন্দ করেন না। এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের জন্য তিনটি বিষয় অপছন্দ করেন—এক. অনর্থক কথা বলা; দুই. সম্পদ নষ্ট করা এবং তিন. অধিক প্রশ্ন করা।’ (বুখারি: ১৪৭৭)


সম্পদের সঠিক ও যথার্থ ব্যবহার যদি করা না হয় তাহলে আল্লাহ তাআলার দেওয়া নেয়ামতের প্রতি অকৃতজ্ঞতা হবে। আর অকৃতজ্ঞদের ওপর আল্লাহর শাস্তি অনিবার্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা যদি (আমার নেয়ামতের) কৃতজ্ঞতা আদায় করো, তাহলে আমি অবশ্যই তোমাদের আরও বাড়িয়ে দেব। আর যদি অকৃতজ্ঞ হও তাহলে (জেনে রেখো) আমার শাস্তি অবশ্যই অত্যন্ত কঠিন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৭)


তাই সম্পদের সঠিক ও যথার্থ ব্যবহার নিশ্চিত করা, অপচয় রোধ করা ও সচেতন হওয়া আমাদের কর্তব্য। 


লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2023