|
Date: 2023-04-20 18:05:02 |
বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে নিয়োগের ভুয়া সার্কুলার দিয়ে জাল নিয়োগপত্র তৈরী করে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ কারী প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালি পুলিশ।
পুলিশ সুপার শাহ্ ইফতেখার আহমেদ বিপিএম সেবা এর নির্দেশনায় থানা পুলিশের একটি চৌকস দল অভিযান শুরু করে।অভিযানের সুত্র ধরে গত২০এপ্রিল দিবাগত রাত ২টা ৫০মিনিটে অভিযান শুরু করে।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কোতয়ালি সদর সার্কেল মোঃ জিন্নাহ আল মামুনের তত্বাবধানে কোতয়ালি থানার অফিসার ইন চার্য মোঃ তানভীরুল ইসলাম,পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত)মোঃ গোলাম মাওলা শাহ্ এবং তর্ঞটদন্থকারী কর্মকর্তা এস আই (নিঃ)মোঃ এমদাদুর রহমানের এর অংশগ্রহনে অভিযান পরিচালনা করে এজাহার নামীয় প্রধান আসামী মোঃ শাহিনুজ্জামান@স্বপনকে কোতয়ালি থানাধীন হোটেল পার্ক থেকে গ্রেফতার করা হয়।তাকে জিক্জ্ঞাসাবাদের প্রেক্ষিতে অপর আসামী বিরল উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের পোর্টার মোঃ আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
২০এপ্রিল বৃহসপতিবার সকাল ১২টায় দিনাজপুর কোতয়ালি থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল শেখ মোঃ জিন্নাহ আল মামুন বলেন মাদারীপুর জেলার শিবচড় থানার পাঁচড় গ্রামের মোঃ আব্বাস বেপারীর ছেলে মোঃ শাহিনুজ্জামান @স্বপন ১৭এপ্রিল দুপুর ১২টা ২৫মিনিটে দিনাজপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালি ঢাকা এর স্মারক নং ৪৫.০১.০০০০,০১৭. ৩১.০০১.২৩.১৪২ তাং ৩১/০১/২০২৩ সাক্ষরিত একটি সার্কুলার প্রদান করে সিভিল সার্জন ডাঃএ এইচ এম বোরহান উল ইসলাম সিদ্দিকে এই সার্কুলার অনুযায়ী জনবল নিয়োগ দেয়া হবে জানায়।এই সার্কুলারের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সিভিল সার্জন সার্কুলারে উল্লেখিত পরিচালক ( প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ সামিউল ইসলাম এর মোবাই ফোনে এই সার্কুলারের বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান কোন চিঠি বা সার্কুলার ইস্যু করা হয়নি।প্রথভ থেকেই সিভিল সার্জনের আসামী শাহিনুজ্জামান এর ভাবমুর্তি সন্দেহজনক মনে হয় এবং তার আচার আচরনে যথেষ্ট হয় যে এই ব্যক্তি একজন ঠক ও প্রতারক এবং প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস।সে প্রতারনামুলকভাবে জাল নিয়োগপত্র তৈরী করে বিভিন্ন ব্যক্তিদেরকে চাকুরী দেবার নামে মোট অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়াই তার একমাত্র উদ্দেশ্য।এই ব্রক্তির সাথে আরো কিছু সংখ্যক ব্যক্তির সহায়তায় সরকারি অফিসের স্মারক,সরকারি কর্মকর্তার সক্ষর জাল করে নিয়োগপত্র প্রদান করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।এই মর্মে ১৯এপ্রিল সিভিল সার্জন ডাঃ এ এইচ এম বোরহান উল ইসলাম সিদ্দিকী বাদী হয়ে শাহিনুজ্জামানের নাম উল্লেখ করে কোত্তয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।যাহার মামলা নাম্বার ৬৩।আর মামলার তদন্তভার দেয়া হয় এসআই নিঃ এমদাদুর রহমানের উপর।মামলা রুজুর পরেই এসপির নির্দেশনায় ২০এপ্রিল অভিযান কালে দিনাজপুর শহরের পার্ক হোটেলল থেকে শাহিনুজ্জান @স্বপন (৪৫)কে গ্রেফতার করা হয়।এবং তকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রেক্ষিতে তার আরেক সহযোগী প্রতারক চক্রের সক্রিয় অন্যতম সদস্য বিরল উপজেলার দুলহরি গ্রামের মোঃ মোহসীন আলীর ছেলে বিরল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পোর্টার হিসেবে কর্মরত মোঃ আনোয়ার হোসেন( ৪৩)কে ঐদিন ভোর ৪টায় শহরের বাহাদুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে সরকারি স্মারক ব্যবহার ও সাক্ষর জালিয়াতি করে জনবল নিয়োগের ভুয়া অনুমতি পত্র,ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে ভুয়া নিয়োগপত্র ৮টি,স্বাস্থ্য,শিক্ষাও পরিবার কল্যান বিভাগের সার্কুলার ৪পাতা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রক্ষাপন পত্র,ভুয়া আইডি কার্ড,১১টি ব্লাক খাকি খাম,একটি টেকনো মোবাইলএবং তাদের কাজে ব্যবহৃত একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয় বলে সাংবাদিকদের অতিতরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কল জানান।এছাড়ও অতিরক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল শেখ মোঃ জিন্নাহ আল মামুন বলেন এই প্রতারক চক্রিটি দীর্ঘদিন ধরে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আউট সোর্সিংএর মাধ্যমে লোক নিয়োগ বিভিন্ন দপ্তরের জাল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরীসহ চাকুরী প্রত্যাশীদের চাকুরী দেবার নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।তবে এদের মোবাইল গুলো সার্চ করা হচ্ছে এবং এদের সাথে আরো কে কে জরিত তা উদঘাটনে পুলিশ তদা তৎপর রয়েছে।প্রেস ব্রিফিং এর সময় উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর কোতয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)মোঃ গোলাম মওলা শাহ, তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ উপপরিদর্শক নিঃ মোঃ এমদাদুর রহমান।
© Deshchitro 2024