◾ নিউজ ডেস্ক


লাইসেন্স না থাকায় চট্টগ্রামের ৭ হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী।


গতকাল সোমবার (২৯ আগস্ট) বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ল্যাবে অভিযান চালিয়ে এগুলো বন্ধ করা হয়।


সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী জানান, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরীর বেশ কয়েকটি ক্লিনিকে অভিযান চালানো হয়। এ সময় চট্টেশ্বরীর দেশ হাসপাতালে লাইসেন্স না থাকায় ও অপারেশন থিয়েটারে সনদবিহীন নার্স দায়িত্ব পালন করায় সেটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। 


এ ছাড়া চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পৌরসভা ও চাম্বল বাজারে লাইসেন্স না থাকায় ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মিনি ল্যাব, মামনি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ন্যাশনাল হাসপাতাল (প্রা.) লি., জেনারেল হাসপাতাল চাম্বলের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।


বাঁশখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ ছাড়া নানা অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় নগরীর হেলথ হোম ও ফেয়ার হেলথ নামে নামে দুটি ক্লিনিককে সতর্ক করে ৭ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়। তাদেরকে কাগজপত্র আপডেট করতে বলা হয়েছে। 


সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা পাওয়ার পর সোমবার সকাল থেকে অভিযান পরিচলনা করা হয়েছে। লাইসেন্স না থাকায় ও অপারেশন থিয়েটারে সনদবিহীন নার্স দায়িত্ব পালন করায় চট্টেশ্বরীর দেশ হাসপাতাল ও বাঁশখালীর ৬টি ল্যাব-ডায়াগনস্টিক সেন্টার-হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের অভিযান আরও তিন দিন অব্যাহত থাকবে। 


এর আগে গত মে মাসে এক সপ্তাহের অভিযানে চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৫টি হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে সাতটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে অভিযোগ উঠেছে--বন্ধ হওয়া এসব হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সঙ্গে জড়িত লোকজন সম্পূর্ণ অন্য নামে অবৈধভাবে পুনরায় পরিচালনা করছে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024