◾ নিউজ ডেস্ক


পাঁচ বছরের পরশ, তিন বছরের তাপস। বাবা-মায়ের লাশ পড়ে আছে। দুটি বাচ্চা বাবা-মায়ের লাশের কাছে গিয়ে চিৎকার করছে। বাবা ওঠো, বাবা ওঠো...। মা ওঠো, মা ওঠো...। সেদিন কেউ সাড়া দেয়নি।’


সেই পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের রাতের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


গতকালমঙ্গলবার ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সময় আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয় মঞ্চে। বক্তব্যের ওই অংশে প্রধানমন্ত্রী তার ফুফাতো ভাই শেখ ফজলুল হক মনি ও তার স্ত্রী আরজু মনির হত্যার করুণ চিত্র তুলে ধরেন। এক পর্যায়ে দুই ভাতিজা শেখ ফজলে শামস পরশ ও শেখ ফজলে নূর তাপসকে কাছে ডেকে নেন। 


প্রধানমন্ত্রী যখন বক্তব্য শুরু করেন তখন শেখ ফজলে নূর তাপস মঞ্চে অবস্থান করছিলেন। আর দর্শক সারিতে বসা ছিলেন শেখ ফজলে শামস পরশ। প্রধানমন্ত্রী তখন বলেন, ‘পরশ সামনে চুপ করে বসে আছে। পরশ আসো, আসো কাছে আসো। ওকে নিয়ে আসো...।’


পরশ এলে তাপস এগিয়ে গিয়ে ভাইকে জড়িয়ে ধরে কান্না করেন। দুই ভাই ও প্রধানমন্ত্রীর কান্নায় তখন ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার চোখে তখন পানি। এসময় শেখ হাসিনা নিজেকে সামলে নিয়ে বলেন, ‘আজকে ওরা বড় হয়ে গেছে।’ পরে মঞ্চে উঠে প্রধানমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে সালাম করেন যুবলীগ সভাপতি শেখ পরশ।


ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচির সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, আওয়ামী লীগ নেতা নরুল আমিন রুহুল, সাদেক খান, আব্দুল কাদের খান, শহীদ সেরনিয়াবতসহ আরও অনেকে।


প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2023