নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ৯ নং সোনাপুর ইউনিয়নের কোটবাড়ীয়া ৭ নং ওয়ার্ড ভালিয়া বাড়িতে বিদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে ৪ পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে।
শনিবার (০৬ মে ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ অগ্নিকান্ডের সংবাদ পেয়ে সোনাইমুড়ী ফায়ার স্টেশনের দুইটি গাড়ি নিয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহযোগিতায় দুই ঘন্টা ব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে এতে প্রায় ৮০ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারেরা দাবি করে।
রোববার সকালে সরেজমিনে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রুহুল আমিন এর বসতঘর থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। পরে আগুনের লেলিহান শিখা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। এতে নিমিষেই ৪টি পরিবারের ৮টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এ ঘটনায় রুহুল আমিনের ২টি ঘর, হারুনের ২টি ঘর, ফয়েজ এর ২টি ঘর, সোহেলের ২টি ঘর, সহ মোট ৮টি বসতঘর ও রান্নাঘর সহ ছাই হয়ে যায়। এতে আগুনে পুড়ে যাওয়া ৪টি বসতঘরের পরিবারের সদস্যরা এখন নিঃস্ব তবে এই অগ্নিকান্ডে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের সান্তনা দিয়েছেন পাশাপাশি তিনি সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও এমপি এইচ- এম ইব্রাহিম ও জাহাঙ্গীর আলম সহ জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করার জন্য জোর দাবি জানিয়েছে। তিনি নিজের ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করার চেষ্টা করবে। অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে সোনাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন চৌধুরী গিয়ে শুকনা খাবার ও কিছু বস্ত্র বিতরণ করেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে।
সোনাইমুড়ী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার রাকিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সোনাপুর ইউনিয়নে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত রওনা হই, এবং ফায়ার সার্ভিসের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দীর্ঘ ২ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।