◾মুফতি খালেদ কাসেমি


পরিশ্রম করে উপার্জন করা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। নিজ হাতে উপার্জন করতে উদ্বুদ্ধ করেছে ইসলাম। মহানবী (সা.) বলেন, ‘নিজ হাতের কামাইয়ের চেয়ে উত্তম খাবার কেউ কখনো খায়নি। আল্লাহর নবী দাউদ (আ.) নিজ হাতে কামাই করে খেতেন।’ (বুখারি) একজন শ্রমিক এই প্রশংসনীয় কাজের মাধ্যমেই জীবিকা অর্জন করে থাকেন।


কাজ শেষ হওয়ার পর দ্রুত শ্রমিকের মজুরি পরিশোধ করতে মহানবী (সা.) উদ্বুদ্ধ করেছেন। তিনি বলেন, ‘শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই তার মজুরি পরিশোধ করো।’ (মিশকাত)


শ্রমের বিনিময়ে একজন শ্রমিক মালিকের পক্ষ থেকে উপযুক্ত ও ন্যায্য মজুরি প্রাপ্য হন। একজন শ্রমিক পরিশ্রম করে তার প্রয়োজনগুলো পূরণ করে। বর্তমান বাজার অনুযায়ী একটি শ্রমজীবী পরিবারের জীবনযাপনের কথা বিবেচনায় রেখে শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দেওয়া উচিত।


শ্রমিকের ন্যায্য মজুরির বিষয়টি হাদিস থেকেও প্রতীয়মান হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘দাসদাসীকে ন্যায্য খাদ্য ও পোশাক দিতে হবে। তাকে দিয়ে এমন কোনো কাজ করানো যাবে না, যা তার ক্ষমতাবহির্ভূত।’ (মুয়াত্তা মালিক)


একজন শ্রমিক যেহেতু দৈনন্দিন জীবনধারণের প্রয়োজনসমূহ নিজ মজুরি থেকে পূরণ করে থাকেন, তাই তাঁর মজুরি আদায়ের ব্যাপারে মালিকপক্ষের কোনো ধরনের গড়িমসি কাম্য নয়। যারা শ্রমিকের মজুরি আদায়ে টালবাহানা করে, তাদের ব্যাপারে মহানবী (সা.) বলেন, ‘পাওনা পরিশোধে সামর্থ্যবান ব্যক্তির গড়িমসি জুলুম।’ (বুখারি)


শ্রমিকের অন্যতম অধিকার ন্যায্য মজুরি কোনো ধরনের গড়িমসি ছাড়া দ্রুত আদায় করা আমাদের কর্তব্য। মহান আল্লাহ আমাদের তাওফিক দিন। 


লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2023