|
Date: 2023-05-12 11:09:41 |
মোঃ ফরমান উল্লাহ:
গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ মে) বিকালে নিজ কর্মস্থল থেকে মোটরসাইকেলে বাড়িতে আসছিলাম। কিছু দূর আসতেই আকাশের কালো মেঘ জমতে শুরু হলো। কিছুক্ষণ পরই মেঘের রং পরিবর্তন হয়ে লালচে আকার ধারন করলো। মনে মনে ভাবছিলাম হয়তো এখনই কালবৈশাখী ঝড় শুরু হবে।
মোটরসাইকেলের গতি একটু বাড়িয়ে কোন রকমে ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ি পৌছার সাথে সাথে শুরু হলো কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডব। সাথে বৃষ্টি এবং বজ্রপাত।
আশ্রয় নিলাম এক মার্কেটের ল্যাব সেন্টারে। তখন সময় বিকাল ৫ টা। কালবৈশাখী ঝড়, বৃষ্টি এবং বজ্রপাত বন্ধ হওয়ার অপেক্ষা করছিলাম। বিকাল ৬ টার দিকে থামে ঝড়-বৃষ্টি।
মার্কেট থেকে বের হয়ে রাস্ত এসে সিএনজি তে চড়লাম নান্দাইল চৌরাস্তা আসবো। আঠারো বাড়ি রেলগেইট আসতেই দেখি রাস্তার দুই পাশের অসংখ্য গাছপালা ঝড়ের তান্ডবে ভেঙ্গে রাস্তায় এবং জমিতে পড়ে আছে। লোকজন এসে কেটে নিয়ে যাচ্ছে ডালপালা, যেন লাকড়ী সংগ্রহের এক মহা উৎসব চলছে।
সিএনজি তার গতিতে সামনে এগিয়ে চলছে। তখনও হালকা বৃষ্টি হচ্ছে, ঝড়-তুফান নেই। আঠারবাড়ি থেকে বাঁশহাটি বাজার পর্যন্ত ভালো ভাবে আসছিলাম। বাঁশহাটি বাজার পার হতে শুরু হলো তীব্র যানজট। জানতে পারলাম সামনে একটি শিশুগাছ ভেঙ্গে রাস্তার উপর পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে রাস্তার দুই পাশে ছোট-বড় কয়েক শত গাড়ী আটকে পড়লে বীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
আমাদের বহন করা সিএনজির চালক কৌশল করে অন্যান্য গাড়ীর ফাঁক দিয়ে যেখানে গাছ ভেঙ্গে রাস্তার উপর পড়ে আছে তার নিকটে চলে আসে। ততক্ষণে এলাকার জনগন এসে গাছটির ডাল-পালা কেটে দিয়ে ছোট গাড়ী গুলো চলাচলের সুযোগ করে দেয়।
প্রায় ৪০ মিনিট সিএনজিতে বসে থেকে পরিশেষে এলাকাবসীর সহযোগিতায় গন্তব্যে এসে পৌছি।
জানা যায়, এ কালবৈশাখীর তান্ডবে প্রায় শতাধিক গাছ-পালা ভেঙ্গেছে। বাড়ি-ঘরের ক্ষয়-ক্ষতির কোন সংবাদ পাওয়া যায় নি।
© Deshchitro 2024