নাটোরের বড়াইগ্রামে বিক্রির ২০ বছর পরও জমি রেজিষ্ট্রি না করে দিয়ে ক্রেতাকে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। বিক্রেতার এমন প্রতারণায় চরমভাবে হতাশ হয়ে পড়েছেন ক্রেতা উপজেলার খোর্দ্দ কাছুটিয়া গ্রামের জয়নাল আবেদীন। তিনি ওই গ্রামের মৃত তাহের আলী ফকিরের ছেলে।শুক্রবার তিনি সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতারণার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তা ব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে উপযুক্ত প্রতিকার দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য সুত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালে খোর্দ্দ কাছুটিয়া গ্রামের কৃষক জয়নাল আবেদীন একই গ্রামের মৃত মিয়া গাজীর দুই মেয়ে যথাক্রমে আসমতি বেগম ও আয়শা বেগমের ওয়ারিশ সুত্রে প্রাপ্ত ৩৩ শতাংশ জমি ৯৬ হাজার টাকা দাম নির্ধারণ করে কিনে নেন। পরে আয়শা বেগম তার অংশের মূল্য বাবদ ৪৮ হাজার টাকা বুঝে পেয়ে ১৬.৫ শতাংশ জমি রেজিষ্ট্রি করে দেন। একই সময়ে তিনি অপর অংশের মালিক আসমতি বেগমকে তার অংশের জমির মূল্যের ৪৮ হাজার টাকার মধ্যে ৪৬ হাজার টাকা দেন। অবশিষ্ট দুই হাজার টাকা জমি রেজিষ্ট্রি করে দেয়ার সময় দেয়ার কথা। এরপর থেকেই জমিটি তিনি ভোগদখল করছেন। তবে একই সঙ্গে দুই বোন টাকা নিলেও শুরু থেকেই আসমতি বেগম জমি রেজিষ্ট্রি করে দিতে তালবাহানা শুরু করেন। এরপর প্রায় ২০ বছর পেরিয়ে গেলেও তিনি আর জমি রেজিষ্ট্রি করে দেননি। এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক সালিশ মিটিংয়ে জমি বিক্রির বিষয়টি সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণ হওয়াসহ জমি বিক্রির সত্যতাসহ সালিশনামা দিলেও আসমতি বেগম আমাকে জমি রেজিষ্ট্রি করে দিতে রাজি হননি। জমিটি হাতছাড়া হয়ে যাওয়াসহ আমার মোটা অঙ্কের লোকসান হওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রতারিত জমি ক্রেতা জয়নাল আবেদীন। এ সময় তার দুই ছেলে উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত জমি বিক্রেতা আসমতি বেগম বলেন, আমি জমি বিক্রি করিনি। জমি কট (লিজ) দিয়েছি। তবে এ সময় একই পরিমাণ জমি এক বোন যে দামে বিক্রি করেছে, সেই একই দামে জমি কট দেয়া কতটুকু বাস্তবসম্মত ও বিশ^াসযোগ্য সেটা জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।  
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক জানান, এ ব্যাপারে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2023