ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে গলাচিপা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যরা। ঊপকূলীয় এলাকায় সেচ্ছাসেবক নিয়োগ,ক্ষতিগ্রস্থ সম্ভবনা প্রবণ এলাকায় মাইকিং করা, উপকূীয় বাসিন্দাদের ধরে ধরে সাইক্লোন সেন্টারে অবস্থানে সহযোগীতা করা, সাইক্লোন সেন্টারগুলো তদারকি সহ ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট গলাচিপা ইউনিট।


গলাচিপা উপজেলা ইউনিটের যুব প্রধান মোঃ হুজ্জাতুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় “মোখা” আঘাত হানার পূর্বেই আমরা আমাদের সকল সদস্যদের নিয়ে তৈরি আছি। উপকুলীয় অঞ্চলে আমাদের সদস্যদের কার্যকর ভূমিকা পালনের নির্দেশনা দিয়েছি। আমরা জানতে পেরেছি ঘূর্ণিঝড়টি আমাদের দক্ষিনাঞ্চলে বিকাল নাগাত আছড়ে পড়তে পারে সেজন্য আমরা সচেষ্ট অবস্থানে রয়েছি।


এছাড়াও সক্রিয় অবস্থানে আছেন উপজেলা ইউনিটের সহকারী দলনেতা ফিরোজ মাহমুদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সজিব খান,ট্রেনিং বিভাগের লিজা মনি, আইসিটি ও মিডিয়া বিভাগের সাব্বির হোসেন, দুর্যোগ ও মানবিক সাড়া প্রধান বিভাগের মুনতাসীর মামুন,সহ পাবেল মাহমুদ, মেহেদী হাসান,উূয় সরকার জিন্নাত সিয়াম, অমিত সরকার ও


গলাচিপা উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।


অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৫-০৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।


অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী (৪৪-৮৮ মিমি) থেকে অতি ভারী (২৮৯ মিমি) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ী অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।


উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024