◾ আন্তর্জাতিক ডেস্ক


চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে জাতিসংঘের বহু প্রতীক্ষিত প্রকাশিত প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে। বেইজিংয়ের আপত্তি সত্ত্বেও সম্প্রতি এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।


বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন প্রতিবেদনটিকে ‘প্রহসন’ বলে আখ্যায়িত করে জাতিসংঘকে এটি প্রকাশ না করার আহ্বান জানায়।


প্রতিবেদনে উইঘুর সম্প্রদায়ের মুসলিম এবং অন্য জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের দাবি মূল্যায়ন করা হয়েছে। চীন যা বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে। 


তবে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তারা এ সম্প্রদায়গুলোর প্রতি সম্ভাব্য মানবতাবিরোধী অপরাধের ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ’ পেয়েছেন।


জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার হিসেবে মিশেল ব্যাশেলেটের দায়িত্ব পালনের শেষ দিনে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। তিনি চার বছর দায়িত্ব পালন করেন। তার দায়িত্ব পালনের সময়ই উইঘুরদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ আনা হয়।


প্রতিবেদনে বলা হয়--চীন সংখ্যালঘুদের দমন ও নির্বিচারে বন্দি করার জন্য জাতীয় নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করার অভিযোগ আনা হয়।


এসব বন্দির ওপর করা হয় নানা ধরনের নির্যাতন। যার মধ্যে যৌন এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও রয়েছে। তাদের জোরপূর্বক পরিবার পরিকল্পনা ও জন্মনিয়ন্ত্রণের আওতায় আনার অভিযোগও করা হয় প্রতিবেদনে।


চীনকে নির্বিচারে বন্দি ব্যক্তিদের অবিলম্বে মুক্ত করার সুপারিশ জানিয়েছে জাতিসংঘ।


যদিও জাতিসংঘ বলেছে, সরকার কতজনকে বন্দি করেছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ধারণা, উত্তর-পশ্চিম চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলের ক্যাম্পে দশ লাখেরও বেশি লোককে আটক করা হয়েছে।


বিশ্ব উইঘুর কংগ্রেস প্রতিবেদনটিকে স্বাগত জানিয়েছে। পাশাপাশি এ বিষয়ে দ্রুত আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার আহ্বান জানায় তারা। 


প্রকাশিত হওয়ার আগেই প্রতিবেদনটি দেখার সুযোগ পায় বেইজিং। বৃহস্পতিবার জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে চীনের প্রতিনিধি দল প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে। তারা জানায়, চীনকে অপবাদ দিতে এ প্রতিবেদন করা হয়েছে এবং এটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বলেও উল্লেখ করা হয়। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বেইজিং জানিয়েছে, এসব ক্যাম্প দেশটির সন্ত্রাস নির্মূলে ব্যবহার করা হয়। 

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2023