◾মুফতি আবু দারদা 


নামাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। নামাজে দাঁড়ানোর অর্থ আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হওয়া। তাই তা আদায়ে তাড়াহুড়ো করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। বরং নামাজের সব আবশ্যক বিষয়াবলি ধীরস্থিরভাবে আদায় করা ওয়াজিব। (বুখারি: ৭৯৩ ও মুসলিম: ৩৯৭)


নামাজে যারা পূর্ণভাবে রুকু-সেজদা আদায় করে না, তাদের সবচেয়ে বড় চোর সাব্যস্ত করেছেন মহানবী (সা.)। হজরত নোমান ইবনে মুররা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মদ্যপ, চোর ও ব্যভিচারী সম্পর্কে তোমাদের কী মত?’ যখন এই প্রশ্ন করা হয়, তখনো এগুলো সম্পর্কে কোনো বিধান অবতীর্ণ হয়নি। 


তাঁরা উত্তর দিলেন, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসুল অধিক জ্ঞাত।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘এগুলো ঘৃণ্য ও জঘন্য পাপ, এসবের সাজা রয়েছে। আর যে ব্যক্তি নিজের নামাজ চুরি করে, সে চুরিই সবচেয়ে বড় চুরি।’ তাঁরা (সাহাবিরা) বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আপন নামাজ চুরি করে কীভাবে?’ তিনি বলেন, ‘যে নামাজের রুকু ও সেজদা পূর্ণভাবে আদায় করে না।’ (মুয়াত্তায়ে মালেক: ৩৮৯)


যাঁরা যত্নসহকারে একাগ্রতার সঙ্গে সময়মতো শুদ্ধভাবে নামাজ আদায় করেন, তাঁদের সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, যা আল্লাহ তাআলা ফরজ করেছেন, যে ব্যক্তি এই নামাজগুলোর জন্য ভালোভাবে অজু করবে, সঠিক সময়ে আদায় করবে এবং আল্লাহর ভয়ে এর রুকুকে পরিপূর্ণরূপে করবে, তার জন্য আল্লাহর ওয়াদা রয়েছে যে, তিনি তাকে ক্ষমা করে দেবেন। আর যে তা না করবে, তার জন্য আল্লাহর ওয়াদা নেই। ইচ্ছা করলে তিনি ক্ষমা করে দিতে পারেন, আর ইচ্ছা করলে শাস্তিও দিতে পারেন।’ (মিশকাত: ৫৭০) 


লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024