ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের সিএমবি রোড এলাকায় মহাখাল সেতু বা বড়পুলের বেহাল দশা। স্থানীয়রা সেতুর একপাশ বাঁশ দিয়ে ঠেকিয়ে রেখেছেন।জানা গেছে কয়েক বছর পূর্বে ট্রাক উল্টে সেতুটির ঢালাই ভেঙে এই অবস্থা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি হবিগঞ্জ - নাসিরনগর - ঢাকা আঞ্চলিক সড়ক হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।প্রতিনিয়ত এই রোডে সিএনজি অটোরিক্সা, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, মটরসাইকেল ছাড়াও কয়েক শত ভারী যানবাহন ট্রাক ও বাস চলাচল করে এবং অন্তত ৩০ টি গ্রামের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে এ সেতু দিয়ে চলাচল করছেন। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।


আশুরাইল বেনীপাড়া গ্রামের জিয়া চৌধুরী(৩০) জানায়,মুরুব্বিদের মুখে শুনেছি আমার জন্মের আগে নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহাখালেের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয় । বিকল্প সড়ক না থাকায় বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কলেজ,স্কুল, মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ওই সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়াত করে।


এ ছাড়া শ্রীঘর ,বুড়িশ্বর ,মোড়াকুড়ি , গঙ্গানগর, কৃষ্ণপুর,লাখাই,বুল্লা,হবিগঞ্জ,রিচি,লুকরা ফান্দাউক,ধরমন্ডল,শিমূলঘর,ছাতিয়াইন,দৌলতপুর,রতনপুর সহ আশপাশের গ্রামের মানুষকে চলাচলের জন্য ওই সেতু ব্যবহার করতে হয়। সেতুর ওপর দিয়ে পারাপার ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পরও শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, কৃষক ও রোগীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ যানবাহন নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন। মোড়াকুড়ি -ফান্দাউকের স্নানের বান্নি ও সূফি সাধক হযরত মাছুম সাহেবের ওরছ প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়। সূফি সাধক মাছুম সাহেবের ওরছ স্থানীয়ভাবে ‘ফান্দাউকের সভা ’ বলে পরিচিত। হিন্দুদের লোকজ ঐতিহ্যের স্নানের বান্নি ও ঐতিহ্যবাহী ফান্দাউকের সভায় দেশ-বিদেশের হাজার হাজার মানুষ যানবাহনসহ ওই সেতুর ওপর দিয়ে এসে যোগদান করে। ওই সেতু ব্যবহার বন্ধ না করলে যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।


ইউপি সদস্য মোঃ গোলাম নূর জানান, সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

ভারী যানবাহনের চাপে সেতুটি ভয়ংকরভাবে দুলে উঠে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসির পক্ষ থেকে সেতুটি পুনঃ নির্মাণের দাবী করা হলেও কোনো কাজ হচ্ছে না।স্থানীয় এলাকাবাসি অনেকের সাথে কথা হয়েছে। তারা প্রত্যেকেই ওই সেতু পুনঃ নির্মাণের দাবী জানান। তারা বলেন, সেতুটি পুরোনো হয়ে গেছে এটি নতুনভাবে নির্মাণ করা না হলে বড় ধরনের ক্ষয় ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024