|
Date: 2023-05-21 16:47:37 |
বিশ্বের ৪৩টি দেশের অন্তত ১০০ কোটি মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন। ২৪টি দেশে এরই মধ্যে এ রোগের প্রাদুর্ভাব শুরুও হয়ে গেছে। বিষয়টি অশনিসংকেত হিসেবে চিহ্নিত করে জাতিসংঘ বলছে, অবিলম্বে পদক্ষেপ না নিলে ‘কলেরা বিপর্যয়ের’ মুখোমুখি হতে পারে বিশ্ব।
গত শুক্রবার (১৯ মে) নতুন সতর্কবার্তায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) বলেছে, নতুন নতুন দেশ এখন প্রাদুর্ভাবের মুখোমুখি। অবস্থা ১০ বছর আগের চেয়ে খারাপ। গত বছর মে মাসের মাঝামাঝি কলেরার প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছিল, তবে তার ব্যাপ্তি ছিল কম।
ডব্লিউএইচওর ইনসিডেন্ট ম্যানেজার হেনরি গ্রে বলেছেন, যেসব দেশের লোকজন কলেরায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে চলতি বছরই তাদের এই ঝুঁকি থেকে বের করে আনা সম্ভব। তবে এ জন্য তাদের প্রয়োজন অন্তত ৬৪ কোটি ডলারের তহবিল, যা এই মুহূর্তে তাদের কাছে নেই। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ডব্লিউএইচওর সদরদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি তহবিল গঠনের জন্য ধনী ও দাতা দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
হেনরি গ্রে জানান, বর্তমানে যে ৪৩টি দেশ কলেরা প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকিতে আছে, সেগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি চলতি বছর প্রথমবারের এ তালিকায় এসেছে। পাশাপাশি কয়েক বছর আগেও কলেরায় যে মৃত্যুহার ছিল, সম্প্রতি তাতে উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, দারিদ্র্য, সংঘাত ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন দেশে নতুনভাবে কলেরার ঝুঁকি বাড়ছে। চলতি বছর বিভিন্ন দেশ তাদের কাছে কলেরার মুখে খাওয়ার টিকা প্রায় ২ কোটি ডোজ সরবরাহের অনুরোধ জানিয়েছে। কিন্তু আমাদের কাছে আছে মাত্র ৮০ লাখ ডোজ।
ডব্লিউএইচও জানায়, মালাউই, মোজাম্বিক, দক্ষিণ আফ্রিকা, তানজানিয়া, জাম্বিয়া এবং জিম্বাবুয়েতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকা বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হেনরি গ্রে জানান, কলেরা সম্পূর্ণ প্রতিরোধের জন্য একজন ব্যক্তিকে অন্তত দুই ডোজ টিকা গ্রহণ করতে হয়। কিন্তু টিকার স্বল্পতার কারণে তারা আপাতত এক ডোজ করে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন।
তিনি জানান, আগামী ১২ মাসে বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে কলেরা টিকা সরবরাহ ও কলেরা নির্মূল প্রচারাভিযানের জন্য জাতিসংঘের শিশু অধিকার ও সহায়তা সংস্থা ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করতে চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আর এই যৌথ কার্যক্রমের জন্য ডব্লিউএইচওর প্রয়োজন ১৬ কোটি ডলার এবং ইউনিসেফের প্রয়োজন ৪৮ কোটি ডলার।
© Deshchitro 2024