পুরুষের জীবনে সবচেয়ে কঠিন মূহুর্ত হচ্ছে,বিবাহ পরবর্তী সময়ে মা-বাবা কিংবা স্ত্রীর সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েন! কম-বেশি প্রায় পুরুষই পারিবারিক এই মানসিক নি*র্যা*তনের শিকার!একদিকে সঙ্গীনী অন্যদিকে মা-বাবা। দু'দিকটা ব্যালেন্স করে টিকে থাকাটাও একজনের পুরুষের কাছে বড্ড কঠিন ব্যপার!

সত্যি বলতে;

একদম সমান্তরাল ভাবে পৃথিবীর কোনো পুরুষ তার মা-বাবা এবং স্ত্রীর মন রক্ষা করে চলতে পারে না-চলা সম্ভবও নয়!একদিক থেকে না একদিক থেকে যেকোনো এক পক্ষে কমতি পড়ে যায়!আর ঠিক তখনই ঐ পক্ষ থেকে আসতে থাকে অভিযোগ।

স্ত্রী যদি ন্যায়ের পক্ষেও থাকে,আর তার হয়ে ছেলে কোনো প্রতিবাদ করলেই মা-বাবার কাছে হয়ে যায় দোষী!কোনো কোনো শ্বাশুড়ি বলে,"ছেলেকে তার বউ তাবিজ করেছে"।ব্যপারটা হাস্যকর হলেও,নিরেট বাস্তবতা।

যে শ্বাশুড়ি বলে,"ছেলেকে বউ তাবিজ করেছে" সেই শ্বাশুড়িও কিন্তু চায়;দিনশেষে তার মেয়ের জামাই তার মেয়ের অনুগত হয়েই চলুক,তাকে কষ্ট না দিক,তাকে আদরে সোহাগে রাখুক।

আবারঃ

যে স্ত্রী অন্যায় করে,শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে সম্মান দেয় না কিংবা খারাপ আচরণ করে;তার স্বামী যদি ন্যায়ের পক্ষেও কথা বলে,তবে তার কাছে স্বামী হয়ে যায় দোষী!

সেই স্ত্রীও কিন্তু কারো না কারো বোন।

আর দিনশেষে সেও চায়;তার ভাই যেন তার স্ত্রীর কারণে কখনোই মা-বাবাকে কষ্ট না দিক,মা-বাবার কথা মতোই চলুক।

অথচ মা-বাবা কিংবা স্ত্রী-এই দু'পক্ষই যদি একটু স্যাক্রিফাইস করে চলে,তবে একজন পুরুষের কিন্তু মানসিক চাপটা একটু কমে যায়।

ব্যপারটা হচ্ছে;-

পুরুষের কষ্ট বোঝার মতো কেউ নেই!

সমাজ বলেন কিংবা পরিবার বলেন,সব জায়গায় পুরুষের কেবল নীরব অসহায়ত্ব!

পুরুষের পুরো জীবনটাই কে*টে যায় শুধু সবকিছুর সাথে ব্যালেন্স রাখতে রাখতেই!এভাবে যে কত পুরুষ নীরবে নিভৃতে কান্না গি*লে রোজ,সে খবর আর ক'জন রাখে?

লেখক : প্রণব মন্ডল,  শিক্ষার্থী; খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2023