|
Date: 2023-05-24 01:08:22 |
আজ ২৩ মে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলি ও কুরি পদকপ্রাপ্তির পঞ্চাশ বছর। ১৯৭৩ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধুর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পদক তুলে দেওয়া হয়। একাত্তর সালে এ অবিসংবাদিত নেতার নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র দুই বছর পরে বিশ্বশান্তি পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলি ও কুরি’ পদকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করে। এ উপলক্ষে রাজধানীর সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের মুক্তির সনদে সকাল ১০ ঘটিকায় পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ মোহসিন কবীর, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমিন, অফিসার্স কাউন্সিলের সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ মোতালিব হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ মোহসিন কবীর বলেন, স্বাধীনতার শুরুতেই জাতির পিতার এ আন্তর্জাতিক পদকের কারণে ২৩ মে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হয়ে ওঠে। বঙ্গবন্ধু সবসময় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাসী ছিলেন, তিনি ছিলেন সর্বদা শোষিতের পক্ষে। তিনি শুধু বাংলাকে নয়, তিনি ভালোবেসেছেন প্রতিটি বাঙালিকে, ভালোবেসেছেন বাঙালি জাতিকে তাই তো বাঙালি জাতির জন্যে সব কিছু ত্যাগ করেছিলেন। বাঙালি জাতিও বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসতেন তাই তো তার এক ডাকে সাড়ে ৭ কোটি বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামে। তিনি তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর আর্দশ ও দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে তাঁরই সুযোগ্য কণ্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেখানো পথ ধরে সোনার বাংলা বির্নিমানে ছাত্রসমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কলেজের সকল বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ। বিশ্বশান্তি পরিষদের প্রেসিডেন্সিয়াল কমিটির সভায় বিশ্বের ১৪০টি দেশের প্রায় ২০০ সদস্যের উপস্থিতিতে ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়কত্বের প্রেক্ষাপট বিবেচনায়, বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি পদক প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্বশান্তি পরিষদ ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর পদক প্রাপক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নাম ঘোষণা করে। ১৯৭৩ সালের ২৩ মে, এশীয় শান্তি সম্মেলনের এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে সেই পদক বঙ্গবন্ধুকে পরিয়ে দেন পরিষদের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল রমেশচন্দ্র।
© Deshchitro 2024