◾নাঈমুল হাসান তানযীম 


বিয়ে পবিত্র বন্ধনের নাম। বিয়ের মাধ্যমে সমাজে স্থিতিশীলতা রক্ষা পায়, প্রশান্তির এক জীবন লাভ করা যায় এবং গুনাহ ও গর্হিত কাজ থেকে বিরত থাকা যায়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘হে যুবসমাজ, তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম, সে যেন বিয়ে করে। কারণ, বিয়ে করলে দৃষ্টি নিচু রাখা যায় এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করা যায়। আর যে ব্যক্তি বিয়ের দায়িত্ব পালন করতে পারবে না, সে যেন রোজা রাখে। কারণ, রোজা তার প্রবৃত্তি কমিয়ে আনে।’ (বুখারি)


বিয়ে নবী-রাসুলদের সুন্নত। হজরত আদম (আ.) থেকে যত নবী-রাসুল পৃথিবীতে এসেছেন, সবাই বিয়ে করেছেন। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘আপনার আগে আমি অনেক রাসুল পাঠিয়েছি এবং তাদের স্ত্রী ও সন্তানসন্ততি দিয়েছিলাম।’ (সুরা রাদ: ৩৮)


বিয়ে বরকত লাভের মাধ্যম। বিয়ে করলে আয়-রোজগারের পথ খুলে যায়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ে করেনি, তাদের বিয়ে করিয়ে দাও এবং তোমাদের সৎকর্মশীল দাস-দাসীদেরও। তারা অভাবগ্রস্ত হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের অভাবমুক্ত করবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও সর্বজ্ঞ।’ (সুরা নূর: ৩২)


আয়াতের ব্যাখ্যায় আবু বকর (রা.) তরুণ-তরুণীদের উৎসাহ দিয়ে বলতেন, ‘তোমরা বিয়ে করে আল্লাহর নির্দেশ পালন করো। তিনি তোমাদের দেওয়া অঙ্গীকারও পালন করবেন।’ (তাফসিরে ইবনে আবি হাতেম: ৮/২৫৮২) আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.) বলেন, ‘তোমরা বিয়ের মাধ্যমে প্রাচুর্যের অনুসন্ধান করো।’ (জামিউত তাবিল: ১৭/২৭৫)


লেখক: নাঈমুল হাসান তানযীম,
ইসলামবিষয়ক গবেষক

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024