|
Date: 2022-09-04 23:37:39 |
◾ নিউজ ডেস্ক
ডলার লেনদেনে অনিয়ম পাওয়ায় ২৭টি ব্যাংককে তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ৭১টি ক্রেডিট কার্ডে সাড়ে ১২ হাজার থেকে ২০ হাজার ডলার পর্যন্ত সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করা হয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খরচ করার একটা লিমিট আছে। প্রতিটি কার্ডের বিপরীতে সাড়ে ১২ হাজার ডলার পর্যন্ত লেনদেন করার বিধান রয়েছে। অনেক ব্যাংক এ সীমার ওপর লেনদেন করেছে, এমন তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের এক পর্যালোচনায় উঠে এসেছে। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মোট ২৭টি ব্যাংকের ৭১টি ক্রেডিট কার্ডে এমন মাত্রাতিরিক্ত ব্যয়ের অনিয়ম পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসব কার্ডে সাড়ে ১২ হাজার থেকে ২০ হাজার ডলার পর্যন্ত লেনদেন করা হয়েছে। অনিয়ম ধরা পড়া এসব কার্ডের বিষয় পুনরায় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৭-এর ক্ষমতাবলে ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ কী পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা নিজ জিম্মায় রাখা যাবে বা অনলাইন কেনাকাটায় মূল্য পরিশোধ করা যাবে, তা নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি নিজের জন্য নির্দিষ্ট পঞ্জিকা বছরে নিয়ম অনুসারে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ডলার পর্যন্ত এনডোর্স করে নিতে পারবেন। অর্থাৎ যদি কারও পাসপোর্টের মেয়াদ পাঁচ বছর থাকে, তাহলে তিনি পাঁচ বছরের জন্য ডলার এনডোর্সমেন্ট করাতে পারবেন। তবে নিয়ম অনুযায়ী এক বছরে ১২ হাজার ডলারের বেশি খরচ করা যায় না। তাই সে পরিমাণ ডলারের এনডোর্সমেন্ট করানো যাবে।
তবে এর পুরোটা নগদ বা নোট আকারে নেওয়া যাবে না। নগদ বা নোট আকারে জনপ্রতি একবারে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ডলার নেওয়া যাবে। বাকি সাত হাজার ডলার পর্যন্ত অর্থ ইন্টারন্যাশনাল কার্ডের মাধ্যমে নেওয়া যাবে।
বিদেশে কেউ একবার ভ্রমণে ১২ হাজার ডলার খরচ করতে পারে। তবে ওই বছর নিজ খরচে আর বিদেশ ভ্রমণে যাওয়া যাবে না। চিকিৎসা বা শিক্ষার মতো বিশেষ প্রয়োজনে বেশি পরিমাণ ডলার নেওয়ার প্রয়োজন হলে যৌক্তিক কারণের উপযুক্ত নথি জমা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হবে।
© Deshchitro 2024