মোঃফরমান উল্লাহ, ভ্রাম্যমান সংবাদদাতা : মানুষের জীবনের মায়া যেন কোন নেই, টাকাই আসল। আমাদের ধারনা টাকা থাকলেই সব আছে। এধারনাকে প্রাধান্য দিয়ে যে যত পারে নিজের ইচ্ছে মত জীবনের ঝুকি নিচ্ছে। একবারও ভাবি না একটি দুর্ঘনা সারা জীবনের কান্না। পত্রিকার পাতা কিংবা টিভি খুললেই হেড লাইন আসে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু আর আহত । তারপরও কি আমারা সর্তক হয়েছি? 


রবিবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে কর্মস্থলে ফিরছিলাম। নেত্রকোণা শহরের কুড়পার সিএনজি স্টেশনে ঢুকার আগে মদন বাসস্ট্যান্ডে সংলগ্ন আবু আব্বাছ কলেজের সামনে অতিরিক্ত মাল বুজাই একটি ট্রাক নজরে পড়লো। ট্রাকটির বডি থেকে অনেক উচু করে গাছের ডাল বুজাই করা হয়েছে। উচ্চতার পরিমান বেশী হওয়ায় প্রায় সময় বিদ্যুতে তার এবং ডিস এর তার ট্রাকে বুজাই করা গাছের ডালে আটকে যাচ্ছে। 


ট্রাকের ছাদে বসে থাকা হেল্পার নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তার সরাচ্ছে। এতে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুূর্ঘনা, মৃত্যুও হতে পারে। অসহায় হেল্পারের কিছু করার নেই। কারণ এ ঝুঁকিপূর্ণ মাল বুজাই ট্রাকে চাকরির সুবাদে যে আয় হয় তা দিয়েই চলে তার সংসার। 



চালক তার আসনে বসে স্টেয়ারিং ধরে ধমক দিয়ে হেপ্লার কে অর্ডার করে আর হেল্পার সুবোধ বালকের মত তা পালন করে যাচ্ছে। 


রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা লোকজনের মন্তব্য প্রায় সময় এসব ট্রাক দুর্ঘটনার শিকার হয় ফলে ট্রাকে আরোহনকারী এবং পথচারী নিহত হচ্ছে এর পরেও অতিরিক্ত মুনাফার লোভে অনিয়ম গুলো করছে ট্রাকের মাকিক, ড্রাইভার এবং হেল্পার মিলে।


ছবির ট্রাকের পিছনে লেখা আছে আসুন ট্রাফিক আইন মেনে চলি। অথচ উক্ত ট্রাক নিজেই ট্রাফিক আইন মানছে না।  


শহরের ভিতরে অতিরিক্ত মালবাহি ট্রাক চলাচল নিষিদ্ধ। তারপরেও নির্বিঘ্নে চলাচল করছে এসব ঝুঁকি পুর্ণ মালবাহি ট্রাক। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী এবং প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা কঠোর হলে বন্ধ হবে অতিরিক্ত মালবাহি পরিবহন চলাচল, কমে যাবে যানজট, বেঁচে যাবে অনেক প্রাণহানি।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024