হোটেল মালিকের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নিয়ে উধাও প্রতারকচক্র


নিজেদেরকে একটি বাড়ি একটি খামারের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ৩৩৫ জনের জন্য ৫৪ হাজার টাকার খাবার অর্ডার করে হোটেল মালিকের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নিয়ে উধাও হয়ে গিয়েছেন ডাঃ চঞ্চল চৌধুরী ও ফারুক নামের দুই প্রতারক।


এ ঘটনায় হোটেল মালিক মো.সোহেল মিয়া (৩২) ৫৪ হাজার টাকার খাবারের প্রস্তুতি সম্পন্ন ও ২০ হাজার টাকা খুইয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন এবং ব্যবসায়িকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।


মো.সোহেল মিয়া আচারগাঁও ইউনিয়নের আচারগাঁও গ্রামের ইসরাহিল মিয়ার ছেলে।


ময়মনসিংহের নান্দাইলে পুরাতন বাজারে হাসপাতাল রোডে সুমী হোটেল নামের একটি রেস্টুরেন্টে এ ঘটনাটি ঘটে।


সুমী হোটেলের মালিক মো.সোহল মিয়া জানান, গত ১৬ মে দুপুরে দুজন লোক তার হোটেলে আসেন। তারা নিজেদের একটি বাড়ি একটি খামারের কর্মকর্তা পরিচয় দেন।তারা দুজনই মুরগি পোলাও খান এবং খাবারের ভালো প্রশংসা করেন।


তারা জানান নান্দাইলের চন্ডিপাশা ও আচারগাও এই দুটি ইউনিয়নে তাদের এনজিওর প্রশিক্ষণ চলতেছে। পাশাপাশি ময়মনসিংহের চারটি উপজেলায় মাসব্যাপী তাদের এ কার্যক্রম চলবে।এতে তাদের এক মাসে প্রায় ৩০ লাখ টাকা খরচ হবে। এর একটা বড় অংশ ব্যয় হবে খাবারের পেছনে।বর্তমানে তাদের একটি টিম স্থানীয় ডাকবাংলোতে থাকবেন। 


মো.সোহল মিয়া জানান,পরদিন ১৭ মে আবার তারা হোটেলে আসেন এবং ৭০ জনের খাবারের অর্ডার দেন। এসময়  খাবারের বিল বাবদ ৯ হাজার ৮ শত টাকাও পরিশোধ করেন তারা।পরে ৩৩৫ জনের জন্য ৫৪ হাজার টাকার খাবার অর্ডার করেন এবং ২৬ মে ৩৩৫ জনের খাবার দেওয়ার কথা জানান।


এসময় সেমিনারে নাশতার কথা বলে কিছু সময়ের জন্য ২০ হাজার টাকা ধার নেন।এরপর থেকেই তারা লাপাত্তা। তিনি বলেন,এত টাকার খাবার নেবেন সে জন্য ২০ হাজার টাকা দিতে রাজি হন তিনি। 


এরপর সোহেল মিয়া ৩৩৫ জনের খাবারের ব্যাপারে ফোনে যোগাযোগ করেন ঐ  কর্মকর্তার সাথে।হোটেল মালিক সোহেল খাবার দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।২৬ মে  শুক্রবার ছিল ৩৩৫ প্যাকেট খাবার পৌঁছে দেওয়ার দিন।এ অবস্থায় সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার (২৭ মে)রাতে খাবারের সকল আইটেম প্রস্তুত করে শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার জন্য ফোন দিলে ওই কর্মকর্তার ব্যবহৃত তিনটি নম্বরই বন্ধ পাওয়া যায়। বারবার চেষ্টার পর একটি নম্বর খোলা থাকলেও কেউ রিসিভ করেনি।এরপর তিনি স্থানীয় ডাকবাংলোতে গিয়ে জানতে পারেন সেখানে এরকম কোন প্রোগ্রাম বা কোন কর্মকর্তা আসেননি। আর তখন সোহেল বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। 


এবিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মো.রাশেদুজ্জামান রাশেদ মুঠোফোনে বলেন,বিষয়টি আমার জানা নেই।অভিযোগ দিলে তদন্তে যাবে।এবিষয়ে অভিযোগকারীকে আইনি সহযোগীতা দেওয়া হবে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024