দক্ষিণ কোরিয়াগামী শত শত বেকার তরুণদের স্বপ্ন পূরণ ও ভাগ্য বদলাতে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছে গাংনী স্বপ্ন কোরিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার। সরকারিভাবে সীমিত খরচে দক্ষিণ কোরিয়ায় চাকুরির বেতন প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকা। জীবন বদলানোর এই সুযোগটি নিতে সারাদেশের লাখো বেকার তরুণ প্রতিবছর চেষ্টা করছেন কোরিয়া যাওয়ার প্রতিযোগিতায় পাশ করতে। ভাষা শিক্ষা, সিবিটি পরীক্ষা, ইউবিটি পরীক্ষা, দক্ষতা পরীক্ষা, স্কিল টেস্টসহ নানা পরীক্ষায় নিজের যোগ্যতা প্রমাণের মধ্য দিয়ে প্রতিবছর সারাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমাচ্ছে হাজার হাজার বেকার তরুণ। আর এক্ষেত্রে সারাদেশে দক্ষিণ কোরিয়াগামী এই কর্মীদের সহায়তায় কাজ করে যাচ্ছে হাজারো সুনামধন্য কোরিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার যার মধ্যে মেহেরপুরের গাংনী হাসপাতাল বাজার (পোস্ট অফিসের বিপরীত পাশে) অবস্থিত অন্যতম প্রতিষ্ঠান গাংনী স্বপ্ন কোরিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার। এই সেন্টারের পাশের হার শতভাগ।


দরিদ্র পরিবার থেকে শূণ্য হাতে দক্ষিণ কোরিয়া গিয়ে আজ অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছেন। অন্যান্য জেলার তুলনায় মেহেরপুরের বেকার তরুণরা কোরিয়ান ভাষা শিক্ষায় পিছিয়ে থাকলেও এ জেলায় এখন কোরিয়ান ভাষা শিক্ষার গুরুত্ব বেড়েছে, গড়ে উঠেছে অসংখ্য ভাষা শিক্ষা সেন্টার, তবে খুব অল্প সময়েই সুনাম অর্জন করেছে গাংনী স্বপ্ন কোরিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার। এখানে জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা শিক্ষার্থীরা ৪ থেকে ৬ মাসের নিয়মিত প্রশিক্ষন এবং কোরিয়া না যাওয়া পর্যন্ত নিজেদেরকে প্রস্তুত করছেন। বর্তমানে উক্ত সেন্টারে নিয়মিত পড়ছেন প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থী। কথা হয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া ফেরত উক্ত প্রতিষ্ঠানটির  পরিচালক হাসানুজ্জামান হাসান এর সাথে তিনি জানান, কোরিয়ায় যাওয়া শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ সহযোগিতায় গড়ে উঠেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি যেন আমাদের প্রতিষ্ঠানের একজন পরিক্ষার্থীও ফেল না করে।


শেষ বার দক্ষিণ কোরিয়ায় যে কর্মী নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছে বোয়েসেলে সেখানে গাংনী স্বপ্ন কোরিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টারের শতভাগ শিক্ষার্থী চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে তারা দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রতিনিয়ত এইভাবে স্বপ্নপূরণের যাত্রায় ভূমিকা রাখতে পেরে আত্মতৃপ্ত হাসানুজ্জামান হাসান ভবিষ্যতে এভাবেই কোরিয়াতে দক্ষ কর্মী প্রেরণের লক্ষ্যে তাদের ভাষা শিক্ষায় ভূমিকা রাখার ইচ্ছা পোষণ করেন।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2023