‘তুলশীমালার সুগন্ধে, পর্যটনের আনন্দে’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে শেরপুরের জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জি আই পণ্য হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক চুড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে শেরপুরের বাহারি সুগন্ধি চাল তুলশীমালা। ২ জুন শুক্রবার ডিসি শেরপুর ফেসবুক আইডিতে অনুমোদনের একটি কপি পোস্ট করে এর সত্যতা নিশ্চিত করা হয়। ওই পোস্টে অভিনন্দন বার্তা জানিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান শতশত লাইক, শেয়ার ও কমেন্ট করেছেন। ডিসি শেরপুর ফেসবুক আইডিতে উল্লেখ করা হয়, ‘একটি উদ্যোগের সফল পরিসমাপ্তি ঘটতে চলেছে। আলহামদুলিল্লাহ অবশেষে জেলা প্রশাসন শেরপুর এর আবেদনের প্রেক্ষিতে তুলশীমালা ধান শেরপুর জেলার জিআই পণ্য হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে।’ তুলশীমালার জেলা বলে সবাই শেরপুরকে একনামে চিনবে। শেরপুরবাসীর জন্য অত্যন্ত গৌরবের বিষয় এটি। জেলা কৃষি সস্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুকল্প দাস বলেন, জেলা প্রশাসকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং কৃষি বিভাগের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আজ তুলশীমালা ধান জি আই পণ্য হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এবার এক কেজির প্যাকেট হিসাবে ১১ হাজার কেজি তুলশীমালা চাল বাজারজাত করা হয়েছে। প্যাকেটে বাংলা এবং ইংরেজিতে চালের গুণাগুণ উল্লেখ করা হয়। ভবিষ্যতে এই চাল বিদেশে রফতানির লক্ষ্য নিয়ে কৃষি বিভাগ কাজ করছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার বলেন, তুলসীমালা চাল পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় ও সহজলভ্য করে তোলার জন্য জেলার তিনটি পর্যটন কেন্দ্রে তুলসীমালা চালের বিপণন কেন্দ্র অচিরেই খোলা হবে। ইতিমধ্যে এ চাল ঢাকায় বিপণনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গত ৩ মে রাজধানীর শেরাটন হোটেলে আয়োজিত পর্যটন উৎসবে দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য তুলসীমালা চালের স্টল খোলা হয়েছিল। ঐ স্টল থেকে ৮০০ প্যাকেট চাল বিক্রিও হয়েছে বলে তিনি জানান। 

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024