◾ আন্তর্জাতিক ডেস্ক


চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ১৬ জন।


চীনের আর্থকোয়েক নেটওয়ার্ক সেন্টার জানিয়েছে, সোমবার দুপুরের পরপরই লুডিং কাউন্টির একটি পাহাড়ি এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।


সিচুয়ান ভূমিকম্পন প্রবণ এলাকা। গেল জুনে দুটি ভূমিকম্পের আঘাতে এখানে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত চারজন।


রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভির বরাতে এবিসি নিউজ জানিয়েছে, আটকে পড়াদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তবে এরই মধ্যে ৪৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ১৬ জন নিখোঁজ রয়েছে। 


সিসিটিভি আরও জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে পাহাড় থেকে মাটি ও পাথর পড়ে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। ভূমিধসের কারণে একটি আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।


দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ অনুসারে, ৬ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পটি সিচুয়ান প্রদেশের কাংডিং শহরের প্রায় ৪৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে আঘাত হানে।


স্থানীয়রা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে প্রাদেশিক রাজধানী চেংদুতে ভবনগুলো বারবার কেঁপে ওঠে। এসব ভবেনে লাখ লাখ মানুষ আগে থেকেই একপ্রকার বন্দিদশায় রয়েছে। কারণ করোনা সংক্রমণের কারণে সেখানে কঠোর লকডাউন চলছে।


চেংডুর এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমি তীব্রভাবে কম্পন অনুভব করেছি। তবে লকডাউনের কারণে যেহেতু আবাসিক ভবন ছাড়ার অনুমতি নেই। তাই ভূমিকম্পের সময়ে অনেকের সঙ্গে উঠানে ছুটে যাই।‘


বাসিন্দা জিয়াং ডানলি জানান, তিনি তার ৩১ তম তলার অ্যাপার্টমেন্টে ৫ মিনিটের জন্য একটি ডেস্কের নিচে লুকিয়ে ছিলেন। তার অনেক প্রতিবেশী আফটারশক থেকে রক্ষা পেতে নিচে ছুটে যান। 


তিনি বলেন, ‘জুন মাসে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পন হয়েছিল। তবে এটি খুব ভয়ংকর ছিল না। এই সময় আমি সত্যিই ভয় পেয়েছিলাম। কারণ আমি একটি উঁচু তলায় থাকি এবং ঝাঁকুনিতে আমার মাথা ঘোরায়।’


চীনে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে ২০০৮ সালে সিচুয়ানে। সে বছর ৭ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে মৃত্যু হয় ৯০ হাজার মানুষের।




প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024