|
Date: 2022-09-06 08:35:28 |
◾মো. আশিকুর রহমান
আমরা স্বপ্ন দেখি। স্বপ্নে বাঁচি। স্বপ্নকে বাস্তব করতে সবসময় ছুটে চলি। আজ এখানে তো কাল সেখানে। এখন এটা তো তখন সেটা! ভালো থাকতে হলে ব্যস্ত থাকতে হবে। স্বপ্ন অনুযায়ী কাজ করতে হবে। কিন্তু একটু ভেবে বলুন তো, আপনি কী সুখী আছেন? নেই! তাই না? কেন বলেন তো? কারণ আপনি সারাজীবন মরীচিকার পিছনে ছুটছেন। নিজের লক্ষ্য ভুলে গেছেন। অন্যকে খুশি করতে গিয়ে স্বকীয়তা হারিয়েছেন।
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীরা ক্লাব করে। এটা নিঃসন্দেহে ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিতে সহায়ক। আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি ও সুন্দর মানসিকতা বিকাশে এটা বিশাল ভূমিকা রাখে। কিন্তু স্মার্টলি ক্লাব কতজন করে! বেশিরভাগ লোকের দেখবেন ক্যারিয়ারের উদ্দেশ্যের সাথে ক্লাব মেলে না। নিজের ভালো লাগা থেকে ক্লাব করলে সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু আপনি একসাথে তিন-চারটা ক্লাব করেন! সবখানে নিজেকে জাহির করতে চান। সবাইকে খুশি করতে চান। আজ এই সংগঠনের প্রোগ্রাম তো, কাল সেখানে প্রোগ্রাম। একদিনে তো দুই-তিনটা মিটিংও পড়ে যায়। কিছু সংগঠন তো প্রোগ্রাম পড়লে মাসখানেক দৌড়ের ওপর রাখে। আবার আপনাকে ডাকা মাত্রই না পেলে ক্লাবের ভাইয়া-আপুরা মাইন্ড করে। তাদেরকে তো আপনার খুশি রাখা লাগবে তাই না! খুব ছোটাছুটি! ব্যালেন্স করতে পারেন? ব্যালেন্স মানে? ব্যালেন্স বলতে- আপনার পড়াশোনা করার এনার্জি থাকে? নিজের স্কিল বাড়াচ্ছেন নাকি শুধু কামলা দিচ্ছেন! ভাই, থামেন। একটু ভাবেন। জীবনের সমীকরণ মেলান। দিনশেষে রুমে গিয়ে প্রচন্ড ক্লান্ত! কোন কাজের এনার্জি থাকে না। ধপাস করে শুয়ে পড়েন। পড়তে ভালো লাগে না। শুধু মোবাইল নিয়ে পড়ে আছেন! ডিপার্টমেন্ট যে প্যারা দেয়, প্যারা দেয় করেন; ডিপার্টমেন্টের পড়া পড়েন ঠিকমতো! সারাদিন বন্ধু-বন্ধু করেন; বিপদে পড়লে পাশে পান তাদের? পিছনে গেলে আপনার দুর্বলতা অন্যের সঙ্গে শেয়ার করে কি তারা! ধরেন আপনার পকেটে টাকা নেই; ফ্যামিলি থেকে সার্পোট পাচ্ছেন না। কোন বন্ধুর থেকে কিছু ধার নিলেন। সময়মতো দিতে না পারলে সেই বন্ধু আপনাকে কথা শোনাচ্ছে। আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড আছে! আর দু-একটা বাড়ান। সবার সাথে হাসিখুশিভাবে চলেন। দেখবেন আগের বেস্ট ফ্রেন্ড আপনাকে আর তেমন প্রায়োরিটি দিচ্ছে না। বন্ধুবান্ধব ছাড়া জীবন অসম্ভব। তবে সবকিছুর মধ্যে নিজেকে প্রস্তুত করবেন। তাইলে আর হতাশা আসবে না। আপনার মনে নেই! এই যে কোভিড-১৯ গেল... ক'জন আপনার খোঁজ নিয়েছে! আপনি কি বিষণ্ণতায় ঢুবে গেছিলেন! উত্তর যদি হ্যাঁ হয়; তাইলে তো বাস্তবতা অনেকটা অনুভব করেছেন।
শুনেন, ছাত্র যারা ঘুরতে যান, চিল বা আনন্দ উল্লাস করেন, প্রেম করেন কিন্তু রুমে এসে পড়তে বসেন। আপনার লাইফস্টাইল যদি অন্য পাঁচটা মানুষের মত হয়, জীবনটাও তেমন হয়ে যাবে। নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলবেন। নইলে চারদিকে হতাশার ছোঁয়া দেখবেন! পড়াশোনা শেষ করার পরে যদি কিছুদিন বেকার থাকেন, তখন বুঝবেন; বাস্তবতা কতটা নিষ্ঠুর। যাদের জন্য সবসময় মেতে থাকতেন, কোন খোঁজ থাকবে না তাদের। জীবনে বলার মতো গল্প না থাকলে আপনার মোবাইল নাম্বারটাও ডিলিট করে দিবে। মানুষ তো স্বার্থবাজ। এটা বুঝতে পারলে জীবন সহজ। মা-বাবা বাদে পৃথিবীর সকল সম্পর্ক 'গিভ এন্ড টেক' টাইপের। এটা বুঝতে শেখেন।
সারাজীবন রাজনীতি করে গেলেন। দারুণ দাপট। ধরেন, আপনি পদ পেলেন না, অন্যদের পিছনে খরচও করতে পারলেন না। কি ভাবছেন, ভাই-ব্রাদার সবাই আগের মতো থাকবে! একদম না! তখন সবার ভাই পরিবর্তন হবে। মানুষ মানুষকে ভালোবাসে না, ভালোবাসে তার অবস্থানকে। এটা মেনে নিতে শেখেন। ভালো রাজনীতিবিদ হতে হলে মেধাবী হতে হয়। নইলে বেশিদিন টিকতে পারবেন না। মেধা-পরিশ্রম থাকলে রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে সফল না হলেও ব্যক্তিজীবনে সফল হবেন। সেই ব্যাক-আপ তৈরি করেন। অন্যরা তেল মারলে, সেই তেল আপনি গায়ে মাখবেন না। নিজেকে কঠিন ইস্পাতের মতো তৈরি করুন যাতে দুমড়ে মুচড়ে না যান। নিজের অনুপ্রেরণা নিজে হোন। আত্মনির্ভরশীল হোন। ব্যার্থতাকে শক্তিতে রুপান্তর করুন। অন্যদের থেকে প্রত্যাশা রাখবেন না। যদি পান, সেটা বোনাস হিসেবে ধরে নিবেন।
মানুষ যতো বিজ্ঞ হয়, তত বিনয়ী হয়। কিন্তু আমাদের সমাজে ইতিবাচকতার চর্চা দিনেদিনে কমে যাচ্ছে। এখন একটা কথা খুব কানে আসে, 'ওরে গোনার টাইম নেয়'। ভাই, ফিরে তাকান! যাদের আপনি গোনেন না, তাদের কি কোন সমস্যা আছে? নেই। আপনি গোনেন না, সেও আপনাকে গোনে না। সামনাসামনি হয়তো সে শুভাকাঙ্ক্ষী টাইপের নাটক করে। আমি বলি কি, সবখানে তো এমন সংস্কৃতি ছড়িয়ে আছে, আসেন--- ভালোবাসা ছড়িয়ে দিই। নিজে পরিবর্তন হয়ে সমাজ পরিবর্তন করি। সারাদিন তো ও এটা করে, সেটা করে; এগুলো নিয়ে ব্যস্ত! সে কি করবে এটা তার বিষয়। আপনি নিজেকে নিয়ে ভাবেন তো। নিজেকে সংশোধন করেন। দেখবেন পৃথিবী যথেষ্ট সুন্দর। নিজের না থাকলে কেউ কারোর না, এটা বুঝেও না বোঝার ভান করেন ক্যান! বাস্তবতা মেনে নেন।
ইদানিং একটা বিষয় খুব ভাবাচ্ছে। অনেকে বিভিন্ন ক্লাব করে, নেতৃত্ব দিয়ে ক্যারিয়ারে সফল হয় না। কেন জানেন? নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারে না। নিজেদের চিন্তার গন্ডি সীমাবদ্ধ রাখে ক্যাম্পাসের মধ্যে! সহজ কথা ধরুন, আপনি একটা ক্লাবের সভাপতি। আপনার শুভাকাঙ্ক্ষীরা অভাব নেই। নিজেকে বুদ্ধিজীবী ভাবতে শুরু করেছেন। কিন্তু মাথা ঠান্ডা করে একটু চিন্তা করুন, বাইরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা স্মার্টলি ক্লাব করে; তাদের সাথে আপনার যোগ্যতার পার্থক্য কোথায়? ওরা নিজেদের সবদিক থেকে যোগ্য করে তোলে। তাদের যেমন আছে ক্যারিয়ার ভাবনা তেমনি আছে স্কিল। আপনি তো মশাই নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে নিজেকে অনেক কিছু ভেবে বসেছেন। শুনেন, ক্যাম্পাস ছেড়ে দেখেন, আপনার পায়ের নিচের মাটি কতটা শক্ত; বুঝতে পারবেন! সংসারের দায়িত্ব নেয়ার চেষ্টা করুন। দেখবেন, টাকা উপর্জন করা কতটা কঠিন।
আপনি চাকরি করতে চান, তাইলে পড়ছেন না ক্যান! কি ভাবছেন, মানুষ আপনাকে মুখে তুলে দিবে, নাও বাবু এই তোমার চাকরি। এতো সোজা! বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়েছেন তো কি হয়েছে। চাকরির বাজার ওপনে ফিল্ড। প্রতিযোগিতা তুমুল। নিজেকে সময় দিন। নিজের চাকরি প্রস্তুতি, নেটওয়ার্কিং ও স্কিল কখনোই আপনার সঙ্গে বেঈমানী করবে না। আপনি যেগুলো পারেন না, শিখে নেন। ইংলিশ স্পিকিং পারেন না। লজ্জার কী আছে! পারি না শেখার চেষ্টা করছি। অন্যরা হাসলে হাসুক। আপনার কি! আপনার প্রয়োজন, আপনাকে দৌড়াতে হবে। শুনেন, হুদাই বসে থাকবেন না। সময় করে কম্পিউটারের টুকটাক কাজ শিখে রাখেন। প্রযুক্তির আপডেট রাখেন। সারাদিন ফেসবুক না চালিয়ে নিয়মিত পত্রিকাটাও পড়বেন। ইন্সট্রাগ্রামে শুধু অন্যের ছবিতে লাভ দিয়েন না, লিংকডইনও চালায়েন। প্রফেশোনাল মেইটা কিভাবে করতে হয়, শিখে নিয়েন। এগুলো না পারলে জীবনের একটা স্টেজে গিয়ে খুব লজ্জিত হবেন। আফসোস করবেন। সময় খুব দ্রুত চলে যাচ্ছে। শুরু করবেন শুরু করবেন বলে শুরু করছেন না। এভাবে হবে না। আপনাকে শুরু করতেই হবে। নিজের জন্য। নিজের বাবা-মা'য়ের জন্য। প্রিয় মানুষটাকে খুশি রাখার জন্য।
কাউকে ভালোবাসেন? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, সবটা দিয়ে ভালোবাসবেন। কোন পিছুটান রাখবেন না। ভালোবাসার মতো এতো সুন্দর, স্নিগ্ধ আর কিছু নেই। সঠিক মানুষটা জীবনে আসলে কোনভাবেই তাকে হারিয়ে যেতে দিবেন না। জীবন থেকে মানুষ হারিয়ে যাওয়ার থেকে নিদারুণ কষ্ট পৃথিবীতে আর হয় না। যদি সত্যিই ভালোবেসে থাকেন, শক্তভাবে ধরে রাখার চেষ্টা করবেন। সারাদিন, তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচবো না টাইপের কথা না বলে একসাথে যাতে বাঁচতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করেন। ক্যারিয়ার গোছান। তার যত্ন নিন। কোয়ালিটি টাইম কাটান। ক্যারিয়ার সুন্দর হলে সম্পর্কটা সহজে মেনে নেয়। তখন আর পরিবারের অজুহাত দেখিয়ে সে দূরে চলে যাবে না। পকেটে টাকা থাকবে না; খুঁটিনাটি ঝামেলা হবে। ভুল-বোঝাবুঝি হবে। সেই সুযোগ আপনি ক্যান দিবেন! টাকা থাকলে পৃথিবীতে অনেক কিছু সম্ভব।
আপনার বাবা যখন পাবলিক বাসে উঠে সিট না পেয়ে দাড়িয়ে থাকে, খারাপ লাগে? বাসে আপনার বোনের শরীর ঘেষে কেউ গেলে মেজাজ খারাপ হয়? হ্যাঁ, আমার হয়। আফসোস করে, মেজাজ দেখিয়ে কি করবেন! যাতে একটা গাড়ি কিনতে পারেন, সেই চেষ্টা করেন। শুনেন, সারাজীবন ভালো থাকার জন্য বছরখানেক কষ্ট করেন। আর এখন জীবনটাকে সিরিয়াসলি নিবেন না, সারাজীবন না পাওয়ার বেদনা আর আফসোস নিয়ে বাঁচতে হবে। সেটা তো আপনি চান না। তাইলে এতো ক্যান সংকোচ! যেটা পারেন না, শিখে নেন। যেটাতে বেশি সময় নষ্ট হয়, বাদ দেন। যেটা করেন, ক্যারিয়ারের সঙ্গে কানেক্ট রাখার চেষ্টা করেন। তাহলে হতাশ হবেন না। ক্যারিয়ার সুন্দর হলে অনেক স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন। আপনার জীবন, আপনার সিদ্ধান্ত। লোকের কথায় কান দিবেন না। কাজ করুন। বিনয়ী হোন। যা আছে তার জন্য কৃতজ্ঞ থাকুন। যা নেই, সেটা পাওয়ার চেষ্টা করুন। বাবা-মা খাটতে খাটতে জীবনটায় শেষ করার পথে।আপনারও দায়িত্ব আছে, তাই না! তাদের কষ্টটা লাঘব করেন। আপনাকে নিয়ে তারা যে গর্ব করে, স্বপ্ন দেখে সেটা ভেঙে দিবেন না। প্রচন্ড ভালোবাসুন তাদের। জীবনের অন্তিম মুহুর্তে সবাইকে ভুলে গেলেও এই দুইটা মানুষকে ভুলবেন না। তারা নিজেরা শেষ হয়ে আপনাকে গড়ছেন। যাদের হারিয়ে গেছে, ওরা জানে কি হারিয়েছে! দিনশেষে তারা খেয়েছে কি না, কেমন আছে; এটা জানতে ভুলবেন না।
ভালো বন্ধু যাদের আছে। খুব ভাগ্যবান তারা। তাদেরকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসুন। তার জন্য এটা করেছেন, সেটা করেছেন; এগুলো বলবেন না। সে কষ্ট পায়। যা করবেন ভালোবেসে! কেউ যদি বিশ্বাস করে কোন কথা বলে; জীবন চলে গেলেও তার অনুমতি ছাড়া অন্য কারোর সাথে শেয়ার করবেন না। নিজেকে গোছান। আপনি ভালো কিছু করতে পারলে, বন্ধুর অভাব হবে না। তবে নতুনত্ব পেয়ে আগের বন্ধুকে দূরে সরিয়ে দিবেন না। আপনার যখন কিচ্ছু ছিলো না, আপনার খারাপ সময়ে যে সার্পোট দিয়েছে; তাকে আপনি মাথায় করে রাখবেন। সুসময়ে অনেককেই পাবেন, তারা কিন্তু বন্ধু নয়। খারাপ সময়ে যে থাকে, সেই বন্ধু! হুটহুট করে কেউ বড় বড় ট্রিট দিলেই ভালো বন্ধু হয় না। দেখবেন কেউ একজন আপনাকে নিয়মিত সময় দিচ্ছে। আপনার নামে কেউ বাজে কথা বললে; সে রেগে যাচ্ছে! আপনার ছায়া হয়ে থাকছে। আপনার চুপ থাকার কারণও বুঝছে! বন্ধু নির্বাচনে সাবধান হবেন। ভালো বন্ধু পেলে আপনি অনেক ভালো থাকবেন। সেটা সংখ্যায় একজন হলেও। ভালো বন্ধু নেই, হতাশ হচ্ছেন ক্যান! বই আছে না! বিশ্বাস করেন, বইয়ের থেকে ভালো বন্ধু আর কিছু হয় না। বই পড়বেন। চিন্তা সুন্দর হবে। কী! বই পড়তে ভালো লাগে না! লাগবে না তো! ভালো বই কিনেন না তো! একাডেমিক-চাকরি রিলেটেড বই তো খুব একটা ভালে লাগবে না! সুন্দর সুন্দর বই পড়েন।
জীবনে কয়েকটা বিষয় মানার চেষ্টা করবেন। বাবা-মাকে সর্বদা আগলে রাখুন। শত ব্যস্ততার মাঝেও তাদের খোঁজ নিন। স্রষ্ঠার ওপর আস্থা রাখুন। সাধ্যমতে ইবাদত করুন। ক্ষমা করতে শিখুন। ইতিবাচকতার চর্চা করুন। মাদক থেকে দুরে থাকুন। ভোরে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস করুন। রাত জাগা বন্ধ করুন। প্রিয় মানুষটাকে ভীষণ ভালোবাসুন। সম্পর্কে তুলনা দেয়া থেকে বিরত থাকুন। নিজেকে ক্ষুদ্র মনে করুন। না বলতে শিখুন। নিজেকে খুশি রাখুন। অন্যের উপকার করতে না পারেন ক্ষতি করবেন না। প্রত্যাশা কম রাখুন। প্রতিদিন নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করুন। নিজের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখুন। আপনার চিন্তায় আপনি সুন্দর। পৃথিবী সুন্দর।
▪️মো. আশিকুর রহমান
লেখক ও শিক্ষার্থী
© Deshchitro 2024