নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কেশার পাড় ইউনিয়নের বীরকোট গ্রামের হাজি বাড়িতে শালিসি বৈঠকে মারধর করে ৩ জনকে গুরুত্বর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে ২ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। 


অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, হাজি বাড়ির ওহিদুর রহমানের বসতভিটা থেকে ১৬ মে প্রায় ১৮ টি গাছ একই বাড়ির টি এন্ড টি আবুল কাশেম বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে রাতের অন্ধকারে কেটে নিয়ে যায়।


এই ব্যাপারে গত শুক্রবার  সামাজিকভাবে  বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়।  উক্ত বাড়ীর গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা মীমাংসার জন্য তাদের বাড়ীতে শালিসী বৈঠক বসে। বৈঠকের  শেষ পর্যায়ে টি এন্ড টি আবুল কাশেমের মাদকাসক্ত  ছেলে সুলতানুল আরেফিন মাতাল অবস্থায় এসে সবার সামনে মামুনুর রশীদ স্বপন ও হাসমত উল্লাহ কে অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ করতে থাকে।

এমতাবস্থায় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা থাকে বাধা দিতে গেলে সে শালিসদারদের উপর চড়াও হয়ে মামুনের মাথায় এবং শরীরে আঘাত করে রক্তাক্ত করে। মাথায় আঘাত পেয়ে মামুন মাটিতে নুয়ে পড়ে। পরে উভয় পক্ষের দস্তাদস্তিতে আরেফিন সহ আরো ২ জন আহত হয়। 


অভিযুক্ত টি এন্ড টি আবুল কাশেম গাছ কাটার  ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করেন এবং প্রতিপক্ষ তাকে ও তার ছেলেকে আহত করার অভিযোগ তোলেন।


এই বিষয়ে চেয়ারম্যান আবদুল হক সুমন জানান, গাছ কাটার বিষয়টি অবগত আছেন কিন্তু মারধরের বিষয়টি উভয় পক্ষ মৌখিক ভাবে অভিযোগ করেছে । তিনি ঢাকা থেকে আসা পর্যন্ত উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে বলেন এবং বৈঠক বসে মীমাংসার করার আশ্বাস দেন।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী তাহেরা বেগম বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় ৩ জন কে আসামী করে একটি দায়ের  করেন। 


মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনবাগ থানার এএসআই  রঞ্জিত কুমার সাহা বলেন, প্রাথমিক ভাবে গাছ কাটার বিষয় টি প্রমাণ মিলেছে। অন্যান্য বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে তথ্য উপাত্ত উদঘাটন করা হবে ।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024