|
Date: 2023-06-07 07:33:40 |
কুড়িগ্রাম সদরের বেলগাছা ইউনিয়ন থেকে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রের মরদেহ পরিত্যক্ত একটি বাড়ির পেছনের গর্ত থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সন্জয় ও তার বাবাকে থানায় নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (৭ জুন) ভোরে ওই ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বেলগাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুর নাম সিমিত চন্দ্র (১২)। সে ওই গ্রামের মানিক চন্দ্র ড্রাইভারের ছেলে। অভিযুক্ত সন্জয় (১৬) একই গ্রামের প্রদীপ চন্দ্রের (দর্জি) ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সন্জয় ও তার বাবাকে থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (৭ জুন) সকালে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) এম আর সাঈদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রাতে হিন্দুদের এক ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের গীতা সংঘ অনুষ্ঠান দেখতে যায় সিমিত ও তার বড় ভাই। সিমিতকে অনুষ্ঠানস্থলে রেখে বাড়িতে ফেরে তার বড় ভাই। পরে অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে সিমিতের সাথে অভিযুক্ত সন্জয়ের কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনায় সিমিতকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সন্জয় । পরে তাদের একটি পরিত্যাক্ত বাড়ির পেছনের গর্তে সিমিতের মরদেহ পুতে রাখে। অনুষ্ঠান শেষে সিমিত বাড়িতে না ফিরলে স্বজনরা তার খোঁজে বের হয়। তারা এ বিষয়ে সন্জয়কে জিজ্ঞাসা করলে সে অসংলগ্ন আচরণ করে। পরে তার বাবা প্রদীপ চন্দ্র তাদের পরিত্যাক্ত বাড়ির পেছনের একটি গর্তে সিমিতের মরদেহ দেখিয়ে দেন। বুধবার ভোরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
আটক সন্জয় এর স্বীকারোক্তিতে সদর থানার ওসি-তদন্ত এম আর সাঈদ বলেন, অভিযুক্ত সন্জয়ের সাথে একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু মেয়েটির অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেছে। এ নিয়ে সিমিতসহ অনেকেই ওই কিশোরকে খোঁচা দিত। গত রাতে সিমিত এ নিয়ে আবারও খোঁচা দিলে সন্জয় সিমিতের গলা চেপে ধরলে শ্বাসরোধ হয়ে শিশুটি মারা যায়।
সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) এম আর সাঈদ বলেন, 'অভিযুক্ত সন্জয় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনা স্বীকার করেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।'
© Deshchitro 2024