◾ নিউজ ডেস্ক


দেশে ২০ লাখ টন খাদ্য মজুদ আছে। কিছু দিনের মধ্যেই আমন চলে আসবে। তা ছাড়া আইএমএফ থেকে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাব। আশা করছি অক্টোবর থেকে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে--মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। 


তিনি বলেন, ‌‘আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়বে। আগস্ট মাসের তথ্য হাতে এসেছে। তবে সরকারপ্রধান দেশের বাইরে আছেন। ওনাকে দেখানোর পর আগস্ট মাসের মূল্যস্ফীতি প্রকাশ করব।’


মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে উন্নয়ন সাংবাদিকদের সংগঠন ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ--ডিজেএফবির উন্নয়ন সংলাপে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন। ডিজেএফবির সভাপতি হামিদ-উজ-জামান মামুনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহানোয়র সাঈদ শাহীনের সঞ্চালনায় সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।


সংলাপে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান আরও বলেন, ‘বর্তমান অবস্থায় সকলের কৃচ্ছ্রসাধন ও সাশ্রয়ী হওয়া দরকার। সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে জিডিপি ৭ বা সাড়ে ৬ শতাংশে দাঁড়াবে। সেপ্টেম্বরে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে অক্টোবরে অনেক কমে আসবে মূল্যস্ফীতি। আশা করি মূল্যস্ফীতি কমবে।’


ভারতীয় ঋণের অর্থছাড়ের প্রবাহ কম উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গেছেন। সেখানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। আশা করি এ সফরের মাধ্যমে তাদের ঋণের অর্থের প্রবাহ বাড়বে। আমাদের প্রকল্পগুলো আরও দ্রুত বাস্তবায়ন হবে। ’


আইএমএফের ঋণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‌‘আইএমএফের দায়-দায়িত্ব আমাদের জন্যও রয়েছে। কোনো সদস্য বিপদে পড়লে তারা ঋণ, উপদেশ, সহযোগিতা দেবে। কোনো রাষ্ট্র খাদে পড়ে গেলে সেখান থেকে তুলে আনার দায়িত্ব আইএমএফের। এখন আমাদের প্রয়োজন বেশি। সেক্ষেত্রে ঋণ চাইতে হবে। আমাদের সঙ্গে বন্ধুর মতো আচরণ করতে হবে, মহাজনের মতো নয়। আইএমএফের ঋণ পেয়ে যাব। সামাজিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা না গেলে কেউ কাজ করতে পারবে না।’  


প্রকল্পে কৃচ্ছ্রসাধন নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক প্রকল্পের রিভিউ করতে হতে পারে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় এটি সমন্বয় করতে হবে। অর্থাৎ একটি কাজের টাকা দিয়ে আরেকটি কাজ করতে হবে।’

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024