জিমি মজুমদার


প্রাকৃতিক নিসর্গ, প্রযুক্তির শিল্প বিল্পব এবং সভ্য জাতি হিসেবে একনামে পরিচিত জাপান। আর উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্বের অন্যতম সেরা উন্নত দেশগুলোর ভেতরে রয়েছে জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা। এ ছাড়া বিশ্বের যত ধরনের উচ্চশিক্ষার বৃত্তি রয়েছে, এর অন্যতম সেরা বৃত্তি হচ্ছে জাপান সরকারের মনবুকাগাকুশো বা মেক্সট স্কলারশিপ। জিমি মজুমদার বর্তমানে জাপানের কিউশু ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে গ্লোবাল অ্যাডভান্সড এসসিসটিভ রোবটিকস প্রোগ্রামে মেক্সট বা মনবুশো বৃত্তি নিয়ে স্নাতকোত্তর করছেন। সম্প্রতি তিনি তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর গবেষণায় ‘এক্সিলেন্ট মাস্টারস থিসিস’ পুরস্কারে মনোনীত হয়ছেন। ইতিপূর্বে তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক পাস করে নাসা ও জাতিসংঘের প্রকল্পে কর্মরত ছিলেন এবং পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ অ্যাডভান্স রোবটিকস রিসার্চের প্রতিষ্ঠাতা।


◾মনবুশো বৃত্তি কী?


জাপান সরকারের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক জাপানের বিশ্বিদ্যালয়ে অধ্যয়নের জন্য একটি বিশেষ বৃত্তির প্রকল্প। ১৯৫৪ সাল থেকে এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামের যাত্রা শুরু করে জাপান সরকার। এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বের প্রায় ১৬০টির মতো দেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য এই বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেহেতু জাপানের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক, তাই এটি মেক্সট বা মনবুকাগাকুশো স্কলারশিপ নামেই পরিচিত। তবে আবার অনেকেই এই বৃত্তিকে মনবুশো বৃত্তি বলে থাকে।


 ◾ সুযোগ-সুবিধা 


  1. কোনো ধরনের টিউশন ফি নেই এবং সম্পূর্ণ ফ্রিতে পড়াশোনা করতে পারবেন। 
  2. মাসে ১,৪৩,০০০-১,৪৮,০০০ ইয়েন পাবেন। 
  3. বাংলাদেশ থেকে জাপানে আসা এবং যাওয়ার বিমান টিকিট পাবেন। 



◾কারা কোন প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারবেন


স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং ডক্টরাল এই তিন ধরনের অধ্যয়নের জন্য মনবুশো বৃত্তি বা মেক্সট স্কলারশিপ রয়েছে। স্নাতকোত্তর বা ডক্টরাল পর্যায়ে যোগ দেওয়ার জন্য সাধারণত বয়স ২৫-৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে। আর স্নাতক পর্যায়ের জন্য বয়স হতে হবে ১৭ থেকে ২৫-এর মধ্যে। স্নাতকোত্তর বা পিএইচডি করার জন্য সাধারণত দুই ধরনের ছাত্রত্ব আছে: 


▪️কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় গ্র্যাজুয়েটদের জন্য—রিসার্চ স্টুডেন্টশিপ

▪️স্কুল বা কলেজশিক্ষকদের জন্য—টিচার ট্রেনিং স্টুডেন্টশিপ 

▪️স্নাতক পর্যায়ে সাধারণত চার ধরনের ছাত্রত্ব আছে: 

▪️ইন্টারমিডিয়েট পাস হতে হবে—আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্টশিপ 

▪️স্নাতক পাস হতে হবে—জাপানিজ স্টাডিজ স্টুডেন্টশিপ

▪️ইন্টারমিডিয়েট পাস হতে হবে–কলেজ অব টেকনোলজি স্টুডেন্ট

▪️ইন্টারমিডিয়েট পাস হতে হবে–স্পেশাল ট্রেনিং কলেজ স্টুডেন্ট



◾আবেদন কীভাবে? 


মনবুশো বৃত্তি বা মেক্সট স্কলারশিপ  ঢাকায় অবস্থিত জাপান দূতাবাসের মাধ্যমে (অ্যাম্বাসি ) আবেদন করা যায়।



লেখক: স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী, গ্লোবাল অ্যাডভান্সড এসসিসটিভ রোবটিকস প্রোগ্রাম, কিউশু ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি।


অনুলিখন: জুবায়ের আহম্মেদ 


তথ্যসূত্র: আজকের পত্রিকা

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024