ময়মনসিংহের নান্দাইলের বীরবেতাগৈর ইউনিয়নের বীরকামট খালী গ্রামোর মো. সিদ্দিক মিয়া (৩০)।সিজনের শুরু থেকেই তালের শাঁস বিক্রি করছেন। তালের শাঁসের কদর থাকায় তিনি তা বিক্রি করে লাভবান হয়েছেন।তার মুখে আনন্দের হাঁসি।


গৃহস্থের কাছ থেকে ৮ হাজার টাকার তালের শাঁস কিনে এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন তিনি। 


অসহনীয় তীব্র গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ। আর এই গরমে তালের শাঁস বিক্রির ধুম পড়েছে। প্রতিদিন বিভিন্ন হাট-বাজার, জনাকীর্ণ স্থান, বিদ্যালয় এবং রাস্তার মোড়ে বসে তালের শাঁস বিক্রি করেন সিদ্দিক মিয়া।


সরেজমিন সকালে উপজেলার স্থানীয় বীরকামট খালী দক্ষিণ বাজারে গিয়ে দেখা যায় মো. সিদ্দিক মিয়া তালের শাঁস বিক্রি করছেন।তার চারপাশে তালের শাঁস কিনার জন্য ভীড় করছেন ক্রেতারা। তিনি একা তালের শাঁস কেটে কুলোতে পারছেননা। সকাল থেকে রাত অবধি চলে তার এই বেঁচাকেনা।


গরম থাকায় তালের শাঁসের কদর বেড়েছে। ক্লান্ত মানুষ তালের শাঁসে প্রশান্তি খুঁজছেন। দাম কিছুটা বেশি হলেও সে দিকে তাকাচ্ছেন না ক্লান্ত ও পরিশ্রমী মানুষগুলো। গ্রাম ও শহরের বেশির ভাগ শ্রমজীবী মানুষের কাছে তালের শাঁসের কদর বেশি। মানুষ শরীরে পুষ্টির চাহিদা মেটাতে তালের শাঁস কিনে খাচ্ছেন। 


নারী-পুরুষ ও শিশুরা শরীরের ক্লান্তি দূর করতে তালের শাঁস খাচ্ছেন। তবে এ বছর তীব্র তাপদাহে তালের শাঁসের চাহিদা গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক বেড়েছে। তালের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের গ্রামাঞ্চল থেকে তাল সংগ্রহ করে সড়কের পাশে ও অলিগলিতে বিক্রি করতে দেখা গেছে। আর লাইন ধরে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ অপেক্ষার পর তালের শাঁস কিনে খাচ্ছেন ক্রেতারা।


তালে রয়েছে ভিটামিন এ,বি ও সি,জিংক পটাশিয়াম,আয়রন ও ক্যালসিয়ামসহ খনিজ উপাদান। এর সঙ্গে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এ ফলে ৯২ দশমিক ৩ শতাংশ জলীয় অংশ, ক্যালরি ২৯, শর্করা ৬ দশমিক ৫ গ্রাম, ক্যালমিয়াম ৪৩ মিলিগ্রাম, খনিজ শূন্য দশমিক ৫ মিলিগ্রাম। 


ক্রেতারা বলছেন, গত বছরের থেকে এবার তালের শাঁসের দাম অনেকটাই বেশি। এরপরও মৌসুমি ও সুস্বাদু ফল হওয়ায় এর প্রতি আগ্রহের কমতি নেই তাদের। তালের শাঁসের চাহিদা থাকায় তা বিচি হিসেবেও বিক্রি হচ্ছে।


তালের শাঁস বিক্রেতা সিদ্দিক মিয়া জানান,বড় তাল বিচি শাঁস বিক্রি হচ্ছে  ২০ টাকায়।আবার ছোট তালের বিচির শাঁস বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়।প্রতিদিন ভালোই বিক্রি হচ্ছে। আমার লাভ হচ্ছে বেশ ভালো।ক্রেতারা মূল্যের দিকে না তাকিয়ে স্বাচ্ছন্দে কিনে নিচ্ছেন। তিনি গৃহস্থের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তালের শাঁস কিনে আনেন।


পল্লী চিকিৎসক গোলাম মোস্তফা,ইফতি,সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস ছালাম বলেন,সিদ্দিকের কাছ থেকে তালের শাস কিনে খেলাম।অনেক সুস্বাদু। বড় তাল বিচি শাঁস ২০ টাকায় কিনেছি। 

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2023