◾ তামিম হোসেন : আমাদের দেশে বৈশাখ মাস এলেই একটা নাম মুখে মুখে শোনা যায়, কালবৈশাখী ঝড় আসতেছে। প্রতিবছর কোনো না কোনো ঝড়ের নাম শুনতে পাই। যেমন আইলা, নার্গিস, সিডর, মহাশেন, হারিকেন, আম্পান ইত্যাদি। এই সকল ঘূর্ণিঝড় আসার ফলে আমাদের ব্যাপক অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে হয়, অনেক প্রাণ চলে যায়। ফসলি জমি, পশু-পাখিদের ক্ষতি হয়। ঘূর্ণিঝড় আসার ফলে লক্ষ লক্ষ টাকা নষ্ট হয়। তাই আমাদের অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে হয়।


এ বছর ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। এই ঘূর্ণিঝড় বঙ্গোপসাগর থেকে উঠে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসবে। তাই ঘূর্ণিঝড়ের আগ মূহুর্তে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। নিজের জান, মাল, টাকা পয়সা রক্ষা করার জন্য আমাদের করণীয় বিষয়। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষগুলো আশেপাশের আশ্রয় কেন্দ্রে তাদের টাকা পয়সা, পশু পাখি ইত্যাদি নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করতে হবে। সাথে টাকা-পয়সা, অলংকার এবং শুকনো খাবার নিতে হবে। যেমন-চিড়ামুড়ি, খই, তরল খাবার, গুড়, খাবার পানি ইত্যাদি নিতে হবে। ঘূর্ণিঝড় হওয়ার ফলে দুই তিনদিন বিদ্যুৎ বিছিন্ন থাকবে, তাই মোবাইল, চার্জার, টর্সলাইট চার্জ দিয়ে রাখব, ট্যাংকে পানি উঠিয়ে রাখতে হবে। সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। নিজে সতর্ক হতে হবে এবং অন্যকে সতর্ক করতে হবে। তাহলেই ঘূর্ণিঝড় থেকে আমরা আমাদের দেশজ সম্পদগুলো রক্ষা করতে পারব।


তামিম হোসেন 

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ।


প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024