|
Date: 2023-06-15 10:26:39 |
স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক ঠিক তখনই পরিপূর্ণ হয়,যখন একজন আরেকজনের খারাপ সময়ে কিংবা হতাশায় ছায়ার মতো লেগে থাকে,সঙ্গীকে মানসিক সাপোর্ট দেয়,সঙ্গীর প্রতি নমনীয় থাকে।
একটাবার ভেবে দেখুন তো;
সঙ্গী যদি খারাপ সময়ে পাশে থাকে,সবসময় সঙ্গীর কেয়ার করে,সঙ্গীকে সে যেকোনো ভাবেই হোক-কষ্ট ভুলিয়ে রাখে,তবে কি কেউ সহজে হতাশাগ্রস্ত হয়?নিশ্চয়ই না।
মানুষের সবচেয়ে কাছের বন্ধুটি হচ্ছে,তার জীবন সঙ্গী।
আর সেই কাছের মানুষটাই যদি কষ্ট বুঝতে না পারে,তবে আর আশা রাখার জায়গা কই?
আমার কাছে বৈবাহিক সম্পর্ক মানেই কেবল সমাজ,ধর্ম কিংবা লোকদেখানো বৈধ সম্পর্ক নয়।আমার কাছে বৈবাহিক সম্পর্ক মানেই পরস্পরের মিল বন্ধন।যে সম্পর্কে বৈধ ভাবে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়।আর সেই বৈধ সম্পর্কই যদি মানুষের মানসিক অশান্তির কারণ হয়,তবে সে ক্ষেত্রে ব্যপারটা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক,সেই সাথে দুঃখজনকও বটে!
সঙ্গীর খারাপ সময়ে যারা সঙ্গীর সাথে দুর্ব্যবহার করে,সঙ্গীকে আরো দ্বিগুণ মানসিক যন্ত্রণা দেয়,তারা মূলত অবিকল মানুষের মতো দেখতে অমানুষ!আর এই অমানুষগুলোই স্বার্থপরের মতো শুধু নিজের ভালো দেখে।
শত অভাব-অনটনের মধ্যেও সংসার করা যায়,যদি সেখানে শান্তি থাকে।তবে মানসিক অশান্তি নিয়ে একটা দিন পার করা যায় না সংসারে!আর এই বোধ শক্তি পৃথিবীর সব মানুষেরই থাকে না।এমন মানুষ রূপি কিছু অমানুষের কাছে সংসার মানেই কেবল,নিজে ভালো থাকা।সঙ্গী যত অশান্তিতেই থাকুক,তাকে ভালো রাখলে আর কিচ্ছু দরকার নেই।
অথচ সংসার কিন্তু স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের দু'জনের।সেখানে শুধুমাত্র নিজের ভালোর কথা চিন্তা করাটা একপ্রকার স্বার্থপরতা!
লেখক: প্রণব মন্ডল, শিক্ষার্থী & কবি; খুলনা ইউনিভার্সিটি।
© Deshchitro 2024