◾ নিউজ ডেস্ক


মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে প্রতি বছর প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।


অপরাধের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।


মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সিআইডির ফিনান্সিয়াল ক্রাইম ও সাইবার ক্রাইম ইউনিট ঢাকা এবং চট্টগ্রামে যৌথভাবে তিনটি অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে।


গ্রেপ্তাররা হলেন- আক্তার হোসেন, দিদারুল আলম সুমন, খোরশেদ আলম ইমন, রুমন কান্তি দাস জয়, রাশেদ মনজুর ফিরোজ, হোসাইনুল কবির, নবীন উল্লাহ, জুনাইদুল হক, আদিবুর রহমান, আসিফ নেওয়াজ, ফরহাদ হোসাইন, আবদুল বাছির, মাহবুবুর রহমান সেলিম, আব্দুল আউয়াল সোহাগ, ফজলে রাব্বি ও শামীমা আক্তার।


সিআইডি প্রধান বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা হুন্ডি চক্রের সদস্য। প্রবাসীদের কাছ থেকে ডলার সংগ্রহ করার পর তা তারা দেশে না এনে স্থানীয় মুদ্রায় পরিশোধ করেন। এভাবে গত চার মাসে বাংলাদেশ ২৫ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ ডলার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অর্থাৎ বছরে ৭৫ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ ডলারের ক্ষতি হচ্ছে দেশের।


সিআইডি প্রধান বলেন, অনুসন্ধানে জানা গেছে, একটি সংঘবদ্ধ চক্র হুন্ডির মাধমে বিদেশে অর্থপাচার এবং প্রবাসীদের পাঠানো ডলার বিদেশ থেকে বাংলাদেশে না এনে স্থানীয় মুদ্রায় পরিশোধ করার মাধ্যমে মানি লন্ডারিং অপরাধ করে আসছে। প্রাথমিক পর্যায়ে বিকাশ, নগদ, রকেট ও উপায়ের এজেন্ট এই অবৈধ হুন্ডি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।


কাজটি কিভাবে হয় সে বিষয়ে তিনি বলেন, অপরাধীরা তিন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কাজ করে থাকে। প্রথম গ্রুপ বিদেশে প্রবাসীদের কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে এবং দেশ থেকে যারা টাকা পাচার করতে চায় তাদের দেয়। দ্বিতীয় গ্রুপ পাচারকারী ও তার সহযোগী, যারা পাচারকারীদের খুঁজে বের করে। তৃতীয় গ্রুপ বিদেশে সংগৃহীত ডলারের মূল্য বাংলাদেশে টাকায় পরিশোধ করে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় গ্রুপ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কাজটা করে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024