কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের আনজুমান পাড়ার আবুল মঞ্জুরের ছেলে নিরহ বাসিন্দা ও জেলে সৈয়দুল বশর প্রকাশ ছৈয়দুল্লাহর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা পুনরায় সঠিক তদন্তের মাধ্যমে নিরপরাধ ব্যক্তিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পরিবারের সদস্যরা।


সোমবার (১৯ জুন) বিকেল ৩টার দিকে কোটবাজার রিপোর্টাস ইউনিটির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে স্ত্রী বুলবুল আক্তার বলেন, আমার স্বামী সৈয়দুল বশর একজন খেটে খাওয়া জেলে। বিভিন্ন জনের মৎস্য ঘেরে মাছ ধরে কোন রকম জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। গত ২৬/৪/২০২৩ ইং তারিখ আমার স্বামী প্রতিদিনের ন্যায় মাছ ধরে রাতে ঘুমিয়ে পড়ে। বিজিবি সদস্যরা চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ ক্রিস্টাল মেথ (আইস) নামক মাদকের চালান জব্দ করে। ওই সময় আমার স্বামীকে মৎস্য ঘেরে ঘুমানো অবস্থায় ঘুম থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে উক্ত মাদক মামলায় তাকে আসামি করা হয়। উখিয়া থানা মামলা নং-৪৩, তাং-২৬/০৪/২০২৩ইং জি,আর ২১৭/২০২৩।


স্ত্রী বুলবুল আক্তারের দাবী তিনি কখনো মাদক কারবারি ও কিংবা চোরাচালানী ছিলনা। এত বড় ক্রিস্টাল মেথ ( আইস) পাচারে জড়িত থাকার প্রশ্নই উঠে না। আমরা একবেলা খেলে একবেলা উপোস থাকতে হয়। দায়েরকৃত মামলাটি পুনঃ তদন্ত ও সঠিক যাচাই-বাছাই করে নিরপরাধ জেলে ছৈয়দুল বশরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে দরিদ্র পরিবারকে বাঁচানোর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী , স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ সুপারের নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছেন।


পিতা আবুল মঞ্জুর সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, সাঈদুল বাশার প্রকাশ সিসি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ২ লাখ ৮৮ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক হয়। তার বিরুদ্ধে উখিয়া থানা মামলা রয়েছে। যার মামলা নম্বর জিআর ১২৩১/২০২২ ও মামলা নম্বর ৯২ তারিখ ২৫/৯/২০২২। উক্ত ইয়াবা আটকের ঘটনায় আমার নিরহ ছেলে ছৈয়দুল বশরকে সন্দেহের চোখে দেখত। এবং মিথ্যা মামলায় জড়ানোর সহ প্রকাশ্যে হুমকি ধমকি দেয়। এব্যাপারে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত ০১/৩/২০২৩ ইংরেজি উখিয়া থানা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আমার ছেলে। বিষয়টি বর্তমানে এস আই সাইফুল্লাহর নিকট তদন্তাধীন রয়েছে।


পিতা আবুল মঞ্জুর দৃঢ়তার সহিত বলেন, আমার ছেলে কোনদিন মাদক পাচারে সম্পৃক্ত ছিলনা। শ্রমজীবী হিসেবে মাছ ধরে কোন রকম দিনে এনে দিনে খায়। এলাকার জনগণ থেকে জিজ্ঞাসা করলে এর সত্যতা পাওয়া যাবে। মূলত ইয়াবার গডফাদার সাঈদুল বাশার সদু প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে ভুল তথ্য দিয়ে নিরপরাধ ছৈয়দুল বশর কে মামলার এজাহারে আসামি করা হয়। বর্তমানে তিনি জেলহাজতে রয়েছে।


মা জুলেহা বেগম কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেছেন আমার ছেলে নিরপরাধ। আমরা একটি ভাঙ্গা ঘরে বসবাস করছি। শত্রুতাবশত ছেলেকে আসামি করা হয়েছে। আমার ছেলের দ্রুত মুক্তির দাবী করছি।


এদিকে ক্রিস্টাল মেথ ( আইস) চালান জব্দ মামলাটি সুস্থ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে নিরপরাধ ছৈয়দুল বাশার কে উক্ত মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্ত্রী বুলবুল আক্তার। সংবাদ সম্মেলনে মা-বাবা ভাই বোন স্ত্রী ও অবুঝ ছেলে মেয়েরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024