◾ নিউজ ডেস্ক


নিত্যপণ্যের দাম যখন লাগামছাড়া ঘোড়া, তখন ঊর্ধ্বমুখী বাজারে কিছুটা স্বস্তির আভাস দিচ্ছে মুরগি ও চালের বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম কমেছে কেজিতে ২০ টাকা। আর চালের দাম কমেছে ৫০ কেজির বস্তায় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত।


আজ শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে সোনালি মুরগির দাম। আর গত সপ্তাহে মানভেদে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৬৮ থেকে ৭২ টাকা দরে বিক্রি হলেও আজকের বাজারে এটি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা দরে। এ ছাড়া মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায়। যা আগের সপ্তাহে ছিল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা।


চালের দামের বিষয়ে মোহাম্মদপুর টাউনহল কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান বলেন, ‘বাজারে চালের সরবরাহ ভালো রয়েছে। তাই দাম কিছুটা কমে এসেছে। সিন্ডিকেট দূর করতে পারলে চালের বাজার আরও স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’


সাধারণ ক্রেতা বজলুর রহমান বলেন, ‘তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করা গেলেই নিত্যপণ্যের দাম হাতের নাগালে থাকবে। অসাধু ব্যবসায়ীরা যে সুযোগ নিতে চায়, তা যে কোনো মূল্যেই প্রতিহত করতে হবে।’


বাজারে সবজির দামে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। মানভেদে প্রতি কেজি সবজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বেগুন, করলা, কাকরোল, ঢেড়স বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। মরিচের ঝাঁঝ কিছুটা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দর। আদা, রসুন, পেঁয়াজের দামও রয়েছে অপরিবর্তিত।


ভোক্তা অধিকারের অভিযানের পর অস্থিতিশীল হয়ে ওঠা ডিমের বাজার এখন বেশ স্বাভাবিক। প্রতি ডজন ডিম এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে। 


মসলাজাতীয় পণ্য এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গর দাম একই অবস্থায় থাকলেও দর ওঠা-নামা করছে জিরার বাজারে। পণ্যটির দর ১০ টাকা বেড়ে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৯০ থেকে ৫০০ টাকা দরে।


ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধিতে মুদিপণ্য বিক্রিতে কিছুটা ভাটা পড়েছে বলে দাবি বিক্রেতাদের। দৈনিক বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কারওয়ান বাজারের বাবুল মিয়ার কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘বেচাকেনা আগের মতো নেই। তেলের দামের প্রভাবে মানুষ এখন কেনে কম। আগে যেখানে ৫ কেজি পণ্য নিত এখন সেক্ষেত্রে নেয় ২ কেজি করে।’


প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2023