ঈদের ছুটি শেষে ভারত থেকে আমদানি শুরুর কারণে কমছে কাঁচা মরিচের দাম। দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে। বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ বাড়লেও পর্যাপ্ত নয়। কাঁচা মরিচের বর্তমান সংকটকে অস্বাভাবিক বলছেন ক্রেতারা।


কোরবানির ঈদের এক সপ্তাহ আগেও কাঁচা মরিচের কেজি ছিল ২০০ টাকার নিচে। ঈদের সময় বাজারে শুরু হয় অস্থিরতা। কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়ায় ৬০০ টাকা।


তবে রোববার দেশের বিভিন্ন বাজারে মরিচের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। এক দিনের ব্যাবধানে দাম নেমেছে অর্ধেক।


কক্সবাজারে খুচরা ২৮০ টাকা থেকে ৩২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। আমদানির খবরে দাম কমায় ব্যবসায়ীরা।


সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দর দিয়ে রোববার ৬ ট্রাক কাচা মরিচ এসেছে। বেনাপোল, সোনামসজিদ, হিলি স্থলবন্দর দিয়েও ভারতীয় কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে।


ভারত থেকে রোববার বিকালে ৬টি ট্রাকে ৪৪ টন ৪৪০ কেজি কাঁচা মরিচের চালান বেনাপোল স্থলবন্দরে প্রবেশ করেছে। যার প্রতি কেজির আমদানি মূল্য পড়েছে ভ্যাটসহ ৫৫ টাকা। এইচিএম এন্টার প্রাইজ ৩০ টন ও রয়েল এন্টারন্যাশনাল ১৪ টন ৪৪০ কেজি মরিচ আমদানি করে।


দেশে পর্যাপ্ত কাঁচা মরিচের সরবরাহ থাকলেও অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে এক থেকে দেড়শ টাকার মরিচ বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা।


বৃষ্টিপাত ও গরমে ঝালখেত নষ্ট হওয়া এবং ভারতীয় কাঁচা মরিচের আমদানি বন্ধ থাকার কারণে দাম বাড়ার অভিযোগ বিক্রেতাদের।


এদিকে, বাজার নিয়ন্ত্রণে ২৫ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এমপোর্ট পারমিটি আইপি চালুর অনুমতি দেয়। এর ফলে দেশের বিভিন্ন শুল্ক স্টেশন দিয়ে মরিচ আমদানিতে এলসি খোলেন আমদানিকারকরা।


বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার জানান, মরিচ আমদানি অব্যাহত থাকবে। দ্রুত কাচামাল খালাসে সহযোগিতা করছে কাস্টম ও বন্দর সংশ্লষ্টরা। ভোমরা বন্দর দিয়ে সোমবার কাঁচা মরিচের চালান দেশে আসার কথা জানান সিএন্ডএফ সংশ্লিষ্টরা।


বাংলাদেশ-ভারত চেম্বার অব কমার্সের পরিচালম মতিয়ার রহমান জানান, বাংলাদেশ ও ভারতের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে খাদ্যপণ্যসহ সব ধরনের পণ্য সহজে আমদানি করা যায়। সেক্ষেত্রে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হয়। দেশের বাজার পড়ে স্বস্তি। কাঁচা মরিচ আমদানি সরকারের বেধে দেওয়া ৩৭ হাজার টন মরিচ আমদানি করা যাবে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024