◾প্রশ্ন: হুজুর, আমি বাসা থেকে মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য অনেক সময় গাড়িতে বা হেঁটে যাই । এলাকায় বৃষ্টি আসলে কিছু রাস্তা ডুবে যায়। এতে জনসাধারণের চলাচল করতে একটু অসুবিধা হয়। তবুও মাদ্রাসা বা কারোর কর্ম ক্ষেত্রে যাওয়ার জন্য এই ডুবন্ত রাস্তর ভেতর দিয়েই পায়ে হেঁটে যেতে হয়। আর সাধারণত বৃষ্টির পানি যেটা রাস্তায় থাকে ওটা কাদাযুক্ত ও বিভিন্ন ময়লা আবর্জনা মিশ্রিত থাকে। এখন আমার জানার বিষয় হলো, চলার ক্ষেত্রে এই রাস্তার ময়লাযুক্ত পানি যদি জামায় লাগে তাহলে আমার জামা কি নাপাক হয়ে যাবে? এই কাপড় পরে কি আমি নামাজ পড়তে পারবো? সদুত্তর দিয়ে উপকৃত করবেন। ধন্যবাদ।

- ইমরান 

উত্তরা, ঢাকা



◾উত্তর: (সমস্ত প্রশংসা মহান রাব্বুল আলামিনের জন্য)

শরীয়তের বিধানানুসারে কোন স্থানকে কেবলমাত্র সন্দেহবশত নাপাখির হুকুম দেওয়া যায় না। নাপাকির ব্যাপারে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ওই জায়গা পাক হিসেবে বিবেচিত হবে। বৃষ্টির কারণে জমা রাস্তাঘাটের আবর্জনাযুক্ত পানি ও কাদায় নাপাকের আলামত স্পষ্ট পরিলক্ষিত না হলে তা নাপাক বলে গণ্য হবে না। সুতরাং প্রশ্নোল্লিখিত অবস্থায় শুধু বৃষ্টির পানি কিংবা রাস্তার ময়লা পানি কাপড়ে লাগলে কাপড় নাপাক হবে না। সেই কাপড় পরিহিত অবস্থায় নামাজ পড়া যাবে, এতে কোন সমস্যা নেই। তবে আমাদের জন্য উচিত হল, একদম অপারগ না হলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে নামাজ আদায় করা। আল্লাহর সামনে হাজির হওয়া। কিন্তু কেউ যদি স্পষ্ট দেখতে পায় যে, তার কাপড়ে নাপাকের অংশ লেগেছে, পানিতে স্পষ্ট নাপাকি দেখতে পেয়েছে কিংবা নাপাকির দুর্গন্ধ অনুভূতি হয়েছে, তাহলে সেই কাপড় নাপাক বলে গণ্য হবে এবং সেই কাপড় পরে নামাজ পড়া যাবে না। 

(আল্লাহ তাআলা সবচে' ভালো জানেন)


তথ্য সূত্র: (রদ্দুল মুহতার -১/৩২৪,৩২৬) (ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৭) (ফতোয়া ফকিহুল মিল্লাত-৩/৯০-৯৫)(দেওবন্দের ফতোয়া -168306)



◾সমাধান 

মুফতী উসমান গণী নোমানী

মুহাদ্দিস, জামি'আ ইসলামিয়া আরাবিয়া । বলিয়ারপুর, সাভার , ঢাকা।



প্রিয় পাঠক, আপনার দৈনন্দিন জীবনে ইসলামী বিষয়ক যত মাসলা মাসায়েল রয়েছে তা জানতে এবং সমাধানের জন্য যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন নিম্নোক্ত ঠিকানায়- 

osmangoninomani@gmail.com


প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024