উখিয়ায় আশ্রিত রোহিঙ্গা সাহাব মিয়া একাই নিয়ন্ত্রন করেন কুতুপালং ও লম্বাশিয়া ক‌্যাম্প ভিত্তিক ইয়াবা সিন্ডিকেট। লম্বাশিয়া ক্যাম্পের টানা ব্রীজ সংলগ্ন ক‌্যাম্প এলাকার আব্দুস ছালামের দুই ছেলে আন্ডার গ্রাউন্ডে থাকা শীর্ষ ইয়াবা কারবারি শাহাব মিয়া ও তার ছোট ভাই শফিউল্লাহর দখলে বলে অভিযোগ উঠেছে।




সূত্রমতে, কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্পের শত অপকর্মের অন্যতম হোতা শীর্ষ ইয়াবা কারবারি শাহাব মিয়া ও তার ছোট ভাই শফিউল্লাহ সুকৌশলে ইয়াবার কালো টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে রোহিঙ্গা শাহাব মিয়া থেকে স্থানীয় শাহাব মিয়া পরিচয় দিয়ে ক্যাম্প ও সীমান্ত এলাকায় চরম নৈরাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, করইবনিয়া, ডেইল পাড়া সীমান্ত এলাকায় একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তোলে দুই ভাই প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ওপার থেকে এপারে বস্তায় বস্তায় ইয়াবার চালান এদেশে নিয়ে এসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাচার করে হাতিয়ে নিচ্ছে অবৈধ কোটি কোটি টাকা। ইতি পুর্বে ইয়াবাডন সাহাব মিয়া অস্ত্রসহ পুলিশের কাছে ধরা পড়লেও ফের জামিনে বের হয়ে দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছে ইয়াবার রমরমা ব‌্যবস‌্যা।


স্থানীয়দের অভিযোগ, উক্ত দুই ইয়াবা গডফাদার সীমান্ত এলাকায় কথিত স্থানীয় কিছু অবৈধ কারবারীদের সেল্টার নিয়ে এলাকায় স্থানীয় পরিচয় দিয়ে নানা অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। অচিরেই শাহাব মিয়া ও তার ভাই শফিউল্লাহকে গ্রেপ্তার পূর্বক কঠিন শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা না হলে সীমান্ত এলাকা ও ক্যাম্পের আইনশৃংলা পরিস্থিতি চরম অবনতি হওয়ার আশংকা দেখা দিবে বলে একাধিক রোহিঙ্গারা মনে করছেন।


এদিকে রোহিঙ্গা ইয়াবাডন সাহাব মিয়া অবৈধ কালো টাকার যোরে তার তৃতীয় স্ত্রীকেও বাংলাদেশী পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয় পত্র বানিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।


প্রশাসনের একাদিক সুত্র বলছে, রোহিঙ্গা ক‌্যাম্পে অবৈধ কারবারসহ বিভিন্ন অবৈধ মাদক ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ছে কিছু রোহিঙ্গারা। গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে অনেকের তথ্য হাতে নাতে পাওয়া গেচে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024