মোঃ ফরমান উল্লাহ, ভ্রাম্যমান সংবাদদাতা

জন্মের পরই সকল প্রাণির প্রথম চাহিদা হলো খাবারের। এ খাবার সংগ্রহ করতে সকল প্রাণি প্রাণপণ অবিরাম লড়াই করে চলেছে। মানুষ সকাল থেকে রাত অবধি মাঠে-ঘাটে, অফিসে কিংবা হাট-বাজারে কাজ করে প্রধান চাহিদা অন্ন,বস্ত্র,বাসস্থান,চিকিৎসা ও শিক্ষা ব্যয় বহন করতে। 

পশু-পাখি, জন্তু-জানুয়ার বন-জঙ্গল,ঝুপ-ঝাড়, পরিত্যাক্ত স্থানে ঘুরে বেড়ায় নিজের খাবার আহরণ করতে।


গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই)সকাল ৭.৩০ মিনিটে নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার বারহাট্টা বাজার সংলগ্ন কংস নদীর ব্রীজের উপর বসে নদীর  আঁকা-বাঁকা সৌন্দর্য দেখছিলাম।  পাশে বেশ কিছু মানুষ জড়ো হয়ে     কি যেন দেখছে। আমিও এগিয়ে গেলাম। দেখলাম একটি কুকুর নদীর পানিতে সাঁতার কেটে গিয়ে বাঁশের খুটির সাথে অবস্থান করছে। নদীতে হালকা স্রোত তাই সাহস করে হয়তো কুকুরটি সামনে এগুতে পারছে না। লক্ষ্য করে দেখলাম কুকুরটির প্রায় ৩/৪ হাত দূরে মোরগের নাড়ি-ভুরি বাঁশের খুঁটির সাথে আটকে আছে। কচুরি পানার সাথে উজান থেকে নদীর স্রোতে ভেসে আসছে। মানুষের চোখে না পরলেও কুকুরের নাকে ঠিকই ঘ্রাণ লেগেছে। 


কুকুরটির উদ্দেশ্য মোরগের নাড়ি-ভুরি খাওয়া। অনেক কষ্টে প্রাণপণ লড়াই করার পর নাড়ি-ভুরির কিছু অংশ কুকুরটি খেতে পারলেও অধিকাংশ নাড়ি-ভুরি নদীর স্রোতে ভেসে যায়। ফলে কুকুরটিও পানিতে সাঁতার দেয় ভেসে যাওয়া নাড়ি-ভুরি ধরার জন্য। নদীর পানির স্রোতের সাথে শক্তিতে কুলিয়ে উঠতে না  পেরে নদীর তীরে ওঠে আসে।


এ দিকে আরো একটি কুকুর মোরগের নাড়ি-ভুরির জন্য পানিতে নামার অপেক্ষা করতে থাকে। কিন্তু আগের কুকুরটি তীরে ওঠে আসার দৃশ্য দেখে আর সে আর নদীতে নামার সাহস করে নি। 


কুকুরটি কঠোর পরিশ্রম এবং চেষ্টা করেও সম্পূর্ণ  খাবারটি খেতে না পেরে নদীর তীরে এসে ঘেঁউ-ঘেঁউ করতে লাগলো।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024