জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন আজ শনিবার (৮ জুলাই) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ৬ বছর পর দলের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে অনেক আগে থেকেই ব্যাপক প্রস্তুতিগ্রহণ করেছেন নেতাকর্মীরা। সভাপতি পদে  ৯ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতায় অংশ নিয়েছেন। কে হবেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, এনিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে তর্ক-বিতর্ক। প্রার্থীদের পক্ষে হয়েছে প্রচার-প্রচারোণাসহ শোডাউন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সম্মেলন উপলক্ষে ইসলামপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিশাল আকারে মঞ্চ নির্মাণের কাজ চলছে। সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থীর রাজনৈতিক পরিচয় তোলে ধরে বাহারি-রকমারি ব্যানার-পোস্টার ও তোরণে ছেঁয়ে গেছে পৌর শহরের অলিগলি। প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারোণা ও শুডাউনে সরগরম হয়ে উঠেছে এখানকার রাজনীতির মাঠ। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দলের ভিতর একাধিক গ্রুফের লক্ষণীয়। পছন্দের প্রার্থীকে যদি দলীয় পদে নির্বাচিত না করা হয়, এনিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বিরাজ করছে নেতাকর্মীদের মাঝে। তবে সংঘর্ষের বিষয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে থেকে কেউ মুখ খুলছে না। তবে নাম প্রকাশ না করা শর্তে দলের অনেক নেতাকর্মী জানিয়েছে, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মাঝে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। কেউ কাউকে ছাড় দিচ্ছে না। পছন্দের প্রার্থীকে পদে পদায়ন না করা হলে সংঘর্ষসহ ঘটতে পারে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও। সংঘর্ষসহ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।

দলীয় সূত্রে জানা যায় , গত ২০১৬ সালের ২ মার্চ আওয়ামী যুবলীগ ইসলামপুর উপজেলা শাখার সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলন ঘিরে গত বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী ও পৌরসভার কাউন্সিল মো. মোহন মিয়া। এসময় তিনি আরও বলেন, 'আমি নিজেও ইতিপূর্বে পৌর শহর ছাত্রলীগের সদস্যের দায়িত্বে পালনের পর বর্তমানে উপজেলা যুবলীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ভালো বাসায় ইসলামপুর পৌর সভার ২ নং ওয়ার্ড থেকে আমি দুই বার পৌর কাউন্সিল নির্বাচিত হয়েছি। আসন্ন ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হতে পারলে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত যুবলীগ গঠনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে একজন সৈনিক হিসেবে কাজ করে যাবো।'

জেলা যুবলীগের সভাপতি রাজন সাহা রাজু বলেন, 'সম্মেলন সফল করতে যাবতীয় প্রস্তুতিগ্রহণ করা হয়েছে। দলীয় পদে অভিযোগমুক্ত প্রার্থীদের দলে মূল্যায়ন করা হবে।'

সম্মেলন উদ্বোধন করবেন জেলা যুবলীগের সভাপতি রাজন সাহা রাজু। সভাপতিত্ব করবেন ইসলামপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাবু।প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বাংলাদেশ যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সম্মানিত অতিথি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকোট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক বাবু বিজন কুমার চন্দ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকোট আব্দুস সালাম এবং জামালপুর-শেরপুর সংরক্ষিত আসনের মহিলা এমপি হোসনে আরা। এছাড়াও জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত থাকবেন।

ইসলামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, 'সম্মেলনে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খল সৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। সম্মেলন ঘিরে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।'

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024