|
Date: 2023-07-09 08:53:01 |
চসিক সূত্রে জানা গেছে, মশা খুঁজতে চসিক ‘ডিজেআই ম্যাভিক এয়ার এস২’ মডেলের ড্রোন ব্যবহার করবে। এটার ওজন ৫৯৫ গ্রাম। ড্রোনে থাকবে ৪৮ মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরা। মাটি থেকে ১০০ মিটার উঁচুতে উঠে ছবি বা ভিডিও করা যাবে এ ড্রোন দিয়ে। এছাড়া যিনি ড্রোনটি নিয়ন্ত্রণ করবেন তার চতুর্পাশে ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়তে সক্ষম এ ড্রোন। ড্রোনটির জন্য প্রতিদিন সিটি কর্পোরেশনকে ৫ হাজার টাকা ভাড়া গুণতে হবে। প্রাথমিকভাবে নগরের ৬০টি আবাসিক এলাকায় এ ড্রোন অভিযান পরিচালনার লক্ষ্য ঠিক করা হয়।
এ ড্রোন পরিচালনার জন্য সাগর দত্ত নামে একজনকে নিয়োগ দেয়া হয়। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব না কমা পর্যন্ত সে ড্রোন দিয়ে মশার উৎসস্থল খুঁজবে। এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার সিএমপি কমিশনারকে দেয়া চসিকের একটি চিঠিতে বলা হয়, ‘চট্টগ্রাম নগরীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বিপজ্জনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ড্রোন ব্যবহার করে বিভিন্ন বাসা–বাড়ি ও অফিস–আদালতের ছাদ, ছাদবাগান ও পরিত্যক্ত জায়গা পর্যবেক্ষণ করে এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র চিহ্নিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন’। ড্রোন ব্যবহারের অনুমতি চাওয়া হয় ওই চিঠিতে।
ড্রোন ব্যবহারে দায়িত্ব পাওয়া সাগর দত্ত বলেন, অতীতে ১৫০ মিটার উঁচুতে ড্রোনটি তুলতে সক্ষম হয়েছি। বেশি উপরে উঠলে ছবি স্পষ্ট হয় না। তাই চসিকের কার্যক্রমে ১০০ মিটার পর্র্যন্ত তোলা হবে। তিনি বলেন, ২–৩ মিনিট ব্যপ্তি ভিডিও করে দেয়া হবে সিটি কর্পোরেশনকে।
চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান , স্বচ্ছ পানিতে এডিস মশা জন্ম নেয়, তাই বাসা–বাড়ির ছাদ এডিসের প্রজননের অন্যতম উৎস। কারণ ছাদবাগানে ফুলের টবে জমে থাকে স্বচ্ছ পানি। ছাদে আরো নানা উৎস থাকে যেখানে পানি জমে থাকে। কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে শহরের সব–বাড়িতে গিয়ে বা ছাদে এডিসের উৎস আছে কীনা যাচাই করা সম্ভব না। করলেও সেটা সময়–সাপেক্ষ। ড্রোন ব্যবহার করলে এ কাজ অনেক সহজ হবে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা। তাছাড়া শহরের বহু বাড়ির ছাদের সঙ্গে আরেকটি ছাদ লেগে আছে। মশা খোঁজার জন্য প্রত্যেক ছাদে হেঁটে হেঁটে যাওয়াও সম্ভাব নয়। তবে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে একটি ড্রোনের মাধ্যমে অনেকগুলো ভবনের ছাদ পর্যবেক্ষণ করা যাবে।
© Deshchitro 2024