পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে মোঃ শফিকুল ইসলাম নামের এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে এক ছাত্রীকে জুতা দিয়ে পেটানো ও দুই ছাত্রীকে অতিরিক্ত বেত্রাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে আহত শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নিজ বাসায় অবস্থান করছেন। 

সোমবার (১০ জুলাই) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার কাঁঠালতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ভৌত বিজ্ঞান) এবং আহত শিক্ষার্থীরা একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তীব্র নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় উঠে। পরে ঘটনার দিন (১০ জুলাই) রাতেই ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ হারুন অর রশিদ অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন এবং পরদিন (১১ জুলাই) উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান।

নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার সময় অভিযুক্ত শিক্ষক শফিকুল ইসলাম নবম শ্রেণীতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে পাঠদান করছিলেন। এসময় সুরাইয়া আক্তার, আয়েশা আক্তার ও মুন আক্তার নামে তিন শিক্ষার্থী পাশাপাশি বেঞ্চে বসে হাসাহাসি করছিল। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে সুরাইয়া আক্তারকে জুতা দিয়ে পেটান এবং আয়েশা আক্তার ও মুন আক্তারকে এলোপাথাড়ি বেত্রাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেন। পরে খবর পেয়ে তাদের পরিবারের লোকজন গিয়ে তাদেরকে নিজ নিজ বাসায় নিয়ে যায়। 

এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক শফিকুল ইসলামের মুঠোফোনেএকাধিকবার কল করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। 

এ বিষয়ে কাঁঠালতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হারুন অর রশীদ বলেন, জবাব চেয়ে তাকে করান দর্শণের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে উপযুক্ত জবাব না দিলে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল কবীর বলেন, সরেজমিনে গিয়ে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তাকে শোকজ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিধি-মোতাবেক নিয়মানুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024