সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ব্যবহার করে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক আমার সংবাদের দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রতিবেদক ও দৈনিক সুনামগঞ্জ প্রতিদিনের প্রতিবেদক সাংবাদিক এনামুল কবির মুন্না’কে হেনস্থার চেষ্টা করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দোয়ারাবাজার উপজেলার ৭ ব্যক্তি ও সিলেটের ১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।


অভিযোগটি বিশ্লেষণ করে আমলে নিয়েছেন সিলেট সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত। সোমবার দুপুরে অভিযোগটি দায়ের করেন সাংবাদিক এনামুল কবির মুন্না।


অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত বেশ কিছুদিন ধরেই দোয়ারাবাজারের স্বনামধন্য ও পেশাদার গণমাধ্যমকর্মী দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবির মুন্না’কে নানাভাবে হয়রানি করে আসছিলো একটি প্রভাবশালী চক্র, বিভিন্ন সময়ে অনিয়ম দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশের জেরেই মুন্নার সঙ্গে তাদের বিরোধ বাধছিলো, সামাজিকভাবে তার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করলেও তাকে জনপ্রিয়তা থেকে সরাতে না পারায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে একের পর অপপ্রচার শুরু করে এই চক্রটি। এক সময়ে তারা গণমাধ্যমকর্মী মুন্নাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ জালিয়াতির মতো অপরাধ সংঘঠিত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উল্লেখ করা হয়।


অভিযুক্ত আসামীরা হলেন দোয়ারাবাজার উপজেলা সুরমা ইউনিয়নের বরকত নগর গ্রামের মৃত রইছ আলী’র ছেলে কুয়েত প্রাবাসী গোলাম রহমান, গোলাম রহমান’র স্ত্রী ফাতেমা আক্তার ও ২য় স্ত্রী তানিয়া আক্তার লিলি, একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে কামরুল ইসলাম, টিলাগাওঁ গ্রামের রজব আলীর ছেলে মনোয়ার হোসেন,লক্ষীপুর ইউনিয়নের রসরাই গ্রামের মোস্তফা মিয়ার ছেলে ওসমান গনি, সিলেট রহমতপুর গ্রামের মৃত ইসমাইল আলী’র ছেলে মো. ছুরত আলী, ও পিতা- অজ্ঞাত সাং- অজ্ঞাত মোঃ তোফায়েল আহমেদসহ আরো ৪/৫ আসামী।


অইনগত সহায়তা চেয়ে আদালতের স্মরণাপন্ন হওয়া গণমাধ্যমকর্মী এনামুল কবির মুন্না বলেন, গত ২০১৬-১৭ সালের দিকে বরকত নগর এলাকার বাসিন্দা গোলাম রহমান নামের এক ব্যক্তি তার ভাতিজিকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পেয়ে সংবাদ সংগ্রহে গেলে ওই সাংবাদিককে গোলাম রহমান’র নেতৃত্বাধীন একটি চক্রের বাধার মুখে পরতে হয়, এরপর থেকেই মুন্নার ক্ষতি করতে উঠে পরে লেগে যায় চক্রটি, বছরের পর বছর ধরে উপজেলার আরও কিছু সাংবাদিক নামধারীদের সঙ্গে নিয়ে পেশাদার সংবাদকর্মী এনামুল কবির মুন্নাকে হেনস্থার চেষ্টা চালিয়ে আসছিলো চক্রটি, এরা সন্ত্রাস ও দুষ্টু প্রকৃতির লোক হওয়ায় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে দিনপার করছেন সাংবাদিক এনামুল কবির মুন্না।


তিনি আরও বলেন, এই চক্রটি এতোটাই ভয়াবহ যে গোলাম রহমানসহ তাদের চক্রের সদস্যদের অপরাধ বিষয়ে কোনো সংবাদকর্মী সংবাদ প্রকাশ করতে গেলে তারা উল্টো ওই সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে হেনস্থার ভয় দেখায়, পাশাপাশি নানাভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করে থাকে, তাই এদের বিরুদ্ধে কেউ ভয়ে কথাও বলতে চাননা।


আমি আইনের সহযোগিতা চাই, বিজ্ঞ আদালতের কাছে আমি বিচার প্রার্থী হয়েছি, এই দাঙ্গাবাজ চক্রটি মানুষের জানমালের ক্ষতি করে আসছে প্রকাশ্যে, কিন্তু নিউজ করতে গিয়ে আমি এখন বছরের পর বছর ধরে হেনস্থার শিকার তো হচ্ছিই পাশাপাশি নিজের ও পরিবার নিয়ে নিরাপত্তার ঝুঁকিতেও আছি, আমি বিচার চাই।


এ বিষয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট কাণন আলম বলেন “ বিজ্ঞ আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়েছেন ও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন, পাশাপাশি আমরা জানতে পেরেছি এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরেই দোয়ারাবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবির মুন্নাকে অপমান- অপদস্ত করতে চেষ্টা চালাচ্ছেন এবং তার শিক্ষা সনদ জালিয়াতি করে বিভিন্ন মাধ্যমে এগুলো ব্যবহার করেছেন তাকে বিরক্ত করছেন, এর বাইরেও তাকে হত্যাচেষ্টারও একটি জিডি আগে থেকেই রয়েছে বলেও আমরা জেনেছি, তাই বিজ্ঞ আদালত এসব বিষয়ে অবগত হয়েছেন, নিশ্চই সবকিছু তদন্ত শেষে আইনগতভাবে যেটিই প্রমাণিত হবে বিজ্ঞ আদালত এর উপযুক্ত বিচারই করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি”।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2023